জেলার হস্তশিল্প মেলায় শহরের হস্তশিল্পীদের টেক্কা দিলো চা বলয়ের আদিবাসী হস্তশিল্পীরা। জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার ৩০৪ নম্বর রুমে শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হস্তশিল্প মেলা।
এই হস্তশিল্প মেলায় জেলার ৬০ জন হস্তশিল্পী অংশ গ্রহণ করেছেন।তার মধ্যে জেলার চা বলয়ের বেশ কিছু আদিবাসী হস্তশিল্পীরা তাদের নিখুঁত কিছু শিল্প নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছেন।
মেলার প্রথম দিনেই চা বলয়ের হস্তশিল্পীদের কাজ বেশ নজর কেড়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের। শিল্পীদের নিখুঁত কিছু শিল্পকলা দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশাসনিক ভবনের কর্তারা।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন প্রচারের অভাবে এই শিল্পীরা এতদিন তাদের শিল্পকলা সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি।সকলের কাজ প্রশংসনীয়।
আগামী দিনে এই শিল্পীদের জন্য আলাদা ভাবে চিন্তা ভাবনা করা হবে। সোমবার দিনই এই মেলার সমাপ্তি হবে।একদিনের এই মেলাতে চারটি বিভাগে শিল্পীরা অংশ গ্রহন করেছে।
বাঁশ,কাঠ,এমব্রয়ডারি, এবং বিবিধ এই চার বিভাগে মোট ৬০ জন শিল্পী তাদের হস্তশিল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। মেলার মূল আকর্ষণ চা বাগানের শিল্পীদের তৈরি হস্তশিল্পের সম্ভার।
কালচিনি ব্লকের মাঝেরডাবরি চা বাগানের আশা নার্জিনারি, সুভাষিনী বাগানের দীপেন ওড়াঁও, রায়মাটাং বাগানের লক্ষী মুন্ডাদের হস্তশিল্প মেলার প্রতিযোগিতায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মেলার প্রতিযোগিতায় রয়েছে লক্ষী মুন্ডার হাতে তৈরি কাঠের মহাত্মা গান্ধী, অন্যদিকে দীপেন ওড়াঁয়ের তৈরি নারকেলের তিন বাঁদর, আশা নার্জিনারির তৈরি কাঠের একাধিক নিখুঁত শিল্পকলা।
মেলায় স্থান পেয়েছে রাভা জনজাতির তৈরি তাঁতের শিল্প, গামছা, উত্তরিও সহ অন্যান্য শিল্প। আলিপুরদুয়ার জেলা শিল্প দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার বিভাস বসু জানিয়েছেন এই মেলায় মোট ৬০ জন শিল্পী অংশ গ্রহণ করেছে।
একদিনের এই মেলায় চারটি বিভাগে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আজকেই প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীদের হাতে শংসাপত্র ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।
বিজয়ী শিল্পীদের কোলকাতায় রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতা নিয়ে যাওয়া হবে।এই প্রতিযোগিতায় সকলের কাজ সমান প্রশংসনীয়।