থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন হল শিলিগুড়িতে। ৯ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থ্যালাসেমিয়া ও বিকলাঙ্গ সেবা সংস্থার তরফে সংস্থার নজরুল সরণি কার্যালয়ে বিশ্ব থ্যালাসাইমাইয়া দিবস পালন করা হয়।
তবে কোভিড বিধি মেনে এবার যতটা সম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে এই দিনটি পালন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বার্তাও দেওয়া হয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে।
উপস্থিত ছিলেন ডঃ শীর্ষেন্দু পাল, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার 'লিফটার অশোক চক্রবর্তী, জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পাওয়ার' লিফটার শ্যামল বিশ্বাস।
এ ছাড়া এই পুন্য কাজে উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী চৈতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সংগঠক সঞ্জয় বর্মন, বালেশ্বর রজক সহ অন্যান্যরা।
সংগঠনের তরফে বিমল কৃষ্ণ বণিক জানান, প্রতি বছরই তাঁরা দিনটি পালন করেন নানা উদ্যোগে মধ্য দিয়ে। কিন্তু গত বছর সম্পূর্ণ লক ডাউনের কারণে প্রথমবার অনুষ্ঠানে ছেদ পড়েছিল।
এবারও করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ মুক্ত না হলেও আংশিক লক ডাউন থাকায় নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ মেনে অনুষ্ঠান করা হয়। সেই সঙ্গে থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে করোনা সচেতনতা প্রচারও করা হয়।
পাশাপাশি দুঃস্থদের মধ্যে নতুন জামা কাপড়, পুষ্টিকর খাবার, কেক, মিষ্টি, বেদানা, আঙুর, কলা, তরমুজ ও অন্যান্য খাবার ও ফল বিতরণ করা হয়।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাতে এই সমস্ত সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রী পেয়ে হাসি ফুটেছে তাদের মধ্যে।
এ ছাড়া খাবার ছাড়াও খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে চাল, আটা, আলু, দুধ বিতরণ করা হবে দুঃস্থ পরিবারগুলির মধ্যে।
এদিন শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে গত এক বছরে যাঁরা করোনা ভাইরাসের কবলে আক্রান্ত হয়ে মারা যান. তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এদিন।
থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির তরফে অবশ্য সারা বছরই বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক কাজ করা হয়। বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু ও কিশোরদের জন্য কাজ করে এই সোসাইটি।
এদিন যাঁরা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তাঁদের মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে হাতে খাবারও তুলে দেওয়া হয়।
করোনা মোকাবিলায় মানুষের কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার, তা প্রচার করে ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল। পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কীভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব তাও পরামর্শ দেন তিনি।
খেলোয়াড় অশোকবাবু খেলাধুলার ক্ষেত্রে কোভিড কীভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, তা স্পষ্ট করে জানান। তবে আশা প্রকাশ করেন দ্রুত পৃথিবী সুস্থ হবে বলে।