করোনায় মৃত্যুর সংখ্য়া কমলো, ফের মিউকর মাইকোসিস
উত্তরবঙ্গের শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১। শনিবার সংক্রমণ কিছুটা বাড়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ফের সংক্রমণ বাড়ছে কি না, তবে ফের সংখ্যা কমায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে সব মহলেই। পাশাপাশি, এদিন আরও একজন করোনা আক্রান্তের মিউকরমাইকোসিস ধরা পড়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
মৃতদের খতিয়ান
করোনায় মৃত ১১ জনের মধ্যে ৫ জন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আরও ৩ জন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি ৩ জন জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলেও খবর মিলেছে।
আক্রান্তদের পরিসংখ্য়ান
নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ জন। এর মধ্যে, ১০৭ জন আলিপুরদুয়ার, ২০০ জন কোচবিহার, ২৯৬ জন দার্জিলিং, ৬২ জন কালিম্পং, ৫৪৩ জন জলপাইগুড়ি, ১০২ জন উত্তর দিনাজপুর, ৮৫ জন দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ৭৮ জন মালদার বাসিন্দা রয়েছেন।
সুস্থতার হিসেব
যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তাদের মধ্যে আলিপুরদুয়ারের ২৪৯ জন, কোচবিহারের ৩৯৯ জন দার্জিলিংয়ে, ৩৯৫ জন কালিম্পংয়ের, ১০৭ জন জলপাইগুড়িতে, ১৫৯ জন উত্তর দিনাজপুরের, ২১৯ জন দক্ষিণ দিনাজপুরের, ১৮৩ জন এবং মালদার ১৯১ জন বাসিন্দা বাড়ি ফিরেছেন।
উত্তরদিনাজপুরে হোমের শিশুদের করোনা
অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জে একটি হোমের আবাসিক কিশোরদের মধ্যে করোনা ধরা পড়ল। বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ থেকে ১৮ বছরের মধ্য বালকদের এই হোমে রাখা হয়। আপাতত ২৬ জন রয়েছেন। তার মধ্যে ২৩ জনের পরীক্ষা করে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। তাঁদের ওই ক্যাম্পাসেই আলাদা ঘরে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারে সংক্রমণের সংখ্যা ও অসুস্থতার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তবে গত সাত দিনে সংক্রমনের সংখ্যা ১ হাজার পার করায় কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে একটা অংশ মনে করছে এটা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সংক্রমণ রোধে আরও বেশি করে এলাকা স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে তাঁরা।