scorecardresearch
 

'জ্যাকি'র পর 'যোশি', শিলিগুড়িতে STF এর জালে আরও এক KLO জঙ্গি

'জ্যাকি'র পর 'যোশি', শিলিগুড়িতে STF এর জালে আরও এক KLO জঙ্গি। একাধিক ব্যবসায়ী অপহরণের ছক ফাঁস। অস্ত্রের অপেক্ষায় ছিল তারা। তারপরই শুরু হতো অপারেশন।

Advertisement
 KLO জঙ্গি 'যোশি'কে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হচ্ছে KLO জঙ্গি 'যোশি'কে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হচ্ছে
হাইলাইটস
  • 'জ্যাকি'র পর 'যোশি'
  • পুলিশের জালে আরও কেএলও জঙ্গি
  • ব্যবসায়ী অপহরণের ছক ফাঁস

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার আগেই শিলিগুড়িতে আবার গ্রেপ্তার কেএলও জঙ্গি


অস্ত্র সরবরাহ করে ব্যবসায়ীকে অপহরণের ছক কষছিল কেএলও-রা। শিলিগুড়িতে পুলিশের তৎপরতায় মাত্র একদিন আগেই এক কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করেই ছক ফাঁস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তবে শিলিগুড়ির বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের অপহরণের টার্গেট ছিল ধৃতের। সমস্ত ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 

বন্দুক সরবরহার করত ধৃত জঙ্গি

বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি খালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ঘটনার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ফের গ্রেপ্তার আরও এক কেএলও জঙ্গি। ধৃত ব্যক্তির নাম মৃণাল বর্মন ওরফে যোশি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়ে ছে গ্রেপ্তার হওয়া কেএলও জঙ্গি সংগঠনের চিফ জীবন সিংহের আরেক অন্যতম সদস্য তথা উত্তরবঙ্গ থেকে মূল আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারী।

ফাঁসিদেওয়া থেকে চলছিল ছক

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃণাল বর্মন ফাসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুরের কান্তিভিটার বাসিন্দা। বাড়ি মূলত মালদহের গাজোলে হলেও ১১ বছর আগে শিলিগুড়িতে চলে আসে সে। ফাঁসিদেওয়ায় গাড়ি চালকের কাজ করতো। কখনও পিকআপ ভ্যান, আবার কখনও ট্রাক্টর চালাতো। কিন্তু সেসবের আড়ালে অপহরণের পরিকল্পনা চলছিল তাদের।

জ্য়াকিকে জিজ্ঞাসাবদ করেই যোশিকে গ্রেফতার 

বৃহস্পতিবারই অবিনাশ রায় নামে এক সক্রিয় কেএলও জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃণালের খোঁজ মেলে। এরপর তার দেওয়া তথ্য ধরে মৃণালকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। এসটিএফ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, গত বছরই খোদ জীবন সিংহ অবিনাশ ও মৃণালকে নিযুক্ত করেছে। শিলিগুড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার কথা ছিল অবিনাশ ও মৃণালদের। আগ্নেয়াস্ত্র পেলে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকজন ব্যবস্যায়ীদের অপহরণ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তার বদলে মুক্তিপণ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মায়ানমারে গোপন ডেরায় থাকা কেএলও'র প্রশিক্ষণ শিবির ও বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে অপহরণ

মূলত জীবন সিংহকে বন্দুক সরবরাহ করতো অবিনাশ ও মৃণালরা। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে  ধৃতরা অপহরণ সহ সমস্ত বিষয়ের পরিকল্পনা চালাচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দু একদিনের মধ্যেই তাদের হাতে আসার কথা ছিল আগ্নেয়াস্ত্রের। আর তা পেলেই শুরু হতো একের পর এক অপহরণ।

আরও কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে

এদিন আদালতে এসটিএফের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি  সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "অবিনাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃণাল বর্মনের খোঁজ মিলেছিল। গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত সক্রিয় কেএলও সদস্য। দলের আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যে খোঁজ চলছে।"

Advertisement