বুধবারই উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদকে মন্ত্রী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার ঠিক পরেই অদ্ভূত কথা শোনা গেল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশানের প্রতিষ্ঠাতা অনন্ত রায় মহারাজের মুখে। একান্ত সাক্ষাৎকারে আজতককে তরফে প্রশ্ন করা হয়, তিনি বা তাঁর সংগঠন নির্বাচনে লড়বে কি না? উত্তরে অনন্ত রায় মহারাজ বলেন, দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশানের ভোটে আগ্রহ নেই। মহারাজ সাফ বলেন, তাঁরা ভোটে প্রতিনিধি দেবেন না, এমনটা তাঁদের ভাবনাতেও নেই। এমনকী তাঁদের সেই যোগ্যতা নেই বলেও মনে করেন অনন্ত রায় মহারাজ।
প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন সময় পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। কখনও গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে, কখনও পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে, কখনও আবার আলাদা কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে। আর সাম্প্রতিককালে উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা।
এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে একসময় বিজেপিকে সমর্থন দেন বিমল গুরুংরা। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিমল গুরুং প্রকাশ্যে এসে ঘোষণা করেন বিজেপি কথা রাখেনি, তাই তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। কিন্তু পৃথক গোর্খাল্যআন্ডের দাবি থেকে অবশ্য সরেননি তিনি। আর সম্প্রতিককালে তাঁর ঘনিষ্ঠ রোশন গিরির মুখে ফের একবার আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি আবার পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিমল গুরুং বা কামতাপুর পিপলস পার্টি (ইউনাইটেড)-এর নেতারা ভোটের রাজনীতিতে অংশ নেন। কিন্তু অনন্ত রায় মহারাজ সরাসরি জানিয়েদেন, ভোটে তাঁদের আগ্রহ নেই। সেক্ষেত্রে এখন দেখার আগামিদিনে উত্তরবঙ্গে এই ধরনের পৃথক রাজ্যের আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেয়।