জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চব্বিশ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হল ছয় শিশুর। এর মধ্যে এক শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়ায় মারা গিয়েছে। বাকি পাঁচটি শিশু অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
নতুন করে ৪৯ জন শিশু ভর্তি
পাশাপাশি গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ৪৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনের জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে। শুক্রবার এমনটাই জানালেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুপার সঞ্জয় মল্লিক।
জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাড়ছে
উত্তরবঙ্গ জুড়ে আচমকাই শিশুদের অজানা জ্বর ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। শুধু তাই নয় উত্তরবঙ্গ জুড়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট (একিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) সংক্রমণে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।
বেশির ভাগই কয়েক মাস-দিনের শিশু
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়া দাস নামে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা ছয় মাসের এক শিশুর নিউমোনিয়া সহ জ্বর ও শ্বাসকষ্টের ফলে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির দু'দিনের এক শিশু ও নয় মাসের এক শিশু আরমান হক, জলপাইগুড়ি রোডের বাসিন্দা রেহান মন্ডল নামে এক বছর সাত মাসের এক শিশু, রাজগঞ্জের দুদিনের এক শিশু, শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার নয় বছরের এক শিশু এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরার তিন দিনের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা গোটা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা
তবে ওই পাঁচটি শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছাড়াও সেপসিস, সেরিব্রাল পালসি সহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ৫৪ জন শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি রয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ৪৯ জন শিশু ভরতি হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনের জ্বর ও শ্বাসকষ্টর মতো উপসর্গ রয়েছে। আট জন শিশুকে জলপাইগুড়ি, মালবাজার ও ইসলামপুর থেকে রেফার করা হয়েছিল।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্তব্য
এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, "চব্বিশ ঘন্টায় এখনও পর্যন্ত একটি শিশুর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সহ এআরআই উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।" সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।