অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি। ঘটনায় গোটা উত্তরবঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অস্বস্তিতে তৃণমূল। সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তার বিরুদ্ধে এক প্রাথমিক শিক্ষিকাকে অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তারই ভিত্তিতে শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ ও দলীয় সূত্রের খবর ধৃত ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মাথাভাঙ্গা ১-এর ব্লক সভাপতির নাম কামাল হোসেন।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে বারবার ভেঙে যায়? এই সরল মন্ত্র পাঠ করুন,আর পিঁড়িতে বসার জন্য তৈরি হন
অভিযোগ কী?
মাথাভাঙ্গা-১ এর জোরপাটকির বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষিকা গত ২৫ জুলাই খাটেরবাড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ ছিলেন।তিনি দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর শিক্ষিকা। যথারীতি স্কুলে গিয়েছিলেন তিনি। আর বাড়ি ফেরেননি। গত ২৬ জুলাই মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্কুল শিক্ষিকার মা। প্রায় ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি ওই শিক্ষিকার। ১০ অগাস্ট ফের মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষিকার বাবা। তাঁরা অপহরণের আশঙ্কা করেছিলেন।
তৃণমূল নেতৃত্বকে জানান অপহৃতার বাবা-মা
পুলিশকে লিখিত অভিযোগে অপহরণকারীর নাম উল্লেখ না করলেও তারা তৃণমূল কংগ্রেসের নব নির্বাচিত কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দেভৌমিক এবং দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের কাছে গত ১৪ অগাস্ট লিখিত অভিযোগে জানান তাঁর মেয়েকে কামাল হোসেন অপহরণ করেছে। যদিও কি কারণে অপহরণ তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
আরও পড়ুনঃ UPI ট্র্যানজ্যাকশন হতে পারে দামি, ডেবিট কার্ডে লেনদেন আর ফ্রি নয়
পুলিশের দাবি
মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা এদিন মাথাভাঙ্গা থানায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কামাল হোসেনকে। এই বিষয়ে কামাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতকে এদিন মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলা হয়। এদিকে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে রয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। দলের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কামাল হোসেনকে নিয়ে দলে আলোচনা করা হবে।