scorecardresearch
 

করোনার জেরে এবার বন্ধ হল হেরিটেজ টয়ট্রেন

করোনার জেরে এবার বন্ধ হল হেরিটেজ টয়ট্রেন। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী চার কামরার টয়ট্রেনের কু ঝিকঝিক আপাতত কিছুদিন শোনা যাবে না। পাহাড়ি পথের বাঁক ঘুরতেই আচমকা দেখা মিলবে না পাহাড়ি বিছের।

Advertisement
আগামী কিছুদিন এই দৃশ্যে ছেদ পড়তে চলেছে আগামী কিছুদিন এই দৃশ্যে ছেদ পড়তে চলেছে
হাইলাইটস
  • করোনার প্রকোপ এবার রেলেও
  • অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ টয়ট্রেন
  • উপায় ছিল না, দাবি রেলের

করোনার জেরে এবার বন্ধ হলো হেরিটেজ টয়ট্রেন। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী চার কামরার টয়ট্রেনের কু ঝিকঝিক আপাতত কিছুদিন শোনা যাবে না। পাহাড়ি পথের বাঁক ঘুরতেই আচমকা দেখা মিলবে না পাহাড়ি বিছের।

১৫ মে পর্যন্ত জয়রাইড বাতিল

ফের বন্ধ হয়ে গেল টয়ট্রেন পরিষেবা। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ মে পর্যন্ত টয়ট্রেনের সমস্ত জয়রাইড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত

প্রসঙ্গত,দ্বিতীয় ধাপে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা। ইতিমধ্যেই গতকাল থেকে রাজ্য জুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। এরই মাঝে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বন্ধ করা হল টয়ট্রেন পরিষেবা। তবে ১৫ মে -এর পরও টয়ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো পরিষেবা।

আপাতত পর্যটনে ছাড় নয়

করোনার জেরে একে একে নিভিছে দেউটি। সকালেই বেঙ্গল সাফারি পার্ক বন্ধের খবর নিলে ছিল। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল টয় ট্রেন পরিষেবাও। হেরিটেজ টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পর্যটনের একটা অন্যতম আকর্ষণ আপাতত স্তব্ধ হয়ে গেল।

নিরুপায় হয়েই সিদ্ধান্ত

টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলেও আপাতত কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তারা। হিমালায়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, পর্যটনে যা ক্ষতি হবার তা হয়েছে। নতুন করে ক্ষতি হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে তরাই ডুয়ার্সে ও পাহাড়ে তেমন পর্যটক নেই। তাই শুধু করোনা রুখতেই নয়, ট্রেন চালানোর ক্ষতি বন্ধ  করতে টয়ট্রেন চালাানো রদ করা অবশ্যম্ভাবী ছিল বলে মনে করছেন আরও এক জন বিশেষজ্ঞ।

Advertisement

টয়ট্রেনে বাধা

এর আগে গত বছর করোনার প্রথম ওয়েভের সময় টয়ট্রেন বহুদিন বন্ধ ছিল। তার আগে দফায় দফায় কখনও প্রাকৃতিক দু্র্যোগ আবার কখনও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বারবার টয়ট্রেনের উপর আঘাত এসেছে। বিমল গুরুংয়ের দল ২০১৭ তে টয়ট্রেনের দুটি স্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছিল। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে ধস নেমে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। অন্যদিকে বারবার টয়ট্রেনের গমনে বাধা পড়ায় হেরিটেজ তকমায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।

 

Advertisement