তালিবান আতঙ্কে কাঁপছে আফগানিস্তান
তালিবান আতঙ্কে কাঁপছে আফগানিস্তান। একের পর এক নাগরিক দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। সবার আগে অবশ্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেঁচেছেন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি। উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন দেশের যারা আফগানিস্থানে কর্মরত ছিলেন তাদের মধ্যেও।
ভারত থেকে প্রচুর মানুষ আটকে
ভারত থেকেও প্রচুর মানুষ আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন কর্মসূত্রে গিয়ে। তাদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে ভারত সরকার। তার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১৫০ জন ভারতীয়কে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ তাদের সুরক্ষা এবং সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
দার্জিলিং পাহাড়ের ৪১ জন আটকে থাকার খবর মিলেছে
গোটা দেশের মধ্যে পাহাড়ের মোট ৪১ জন আফগানিস্থানে আটকে রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। এর মধ্যে ১০ জন কার্শিয়াং, ১০ জন দার্জিলিং, ১০ জন সুখিয়াপোখরিতে ৭ জন মিরিকে এবং ৩ জন আরআর ব্লক থেকে আফগানিস্তানে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
একজনের সঙ্গে কথা বলা গিয়েছে
যাঁরা এই মুহূর্তে পাহাড়ের আফগানিস্তানের রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাপি থাপা নামে এক দার্জিলিং এর বাসিন্দা রয়েছেন, যিনি আফগানিস্তানের গত তিন বছর ধরে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী রেজিনা। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তিনি এই মুহূর্তে ইউএস-এর গারদা ওয়ার্ল্ড নামে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। তাঁর সঙ্গে শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কথা হয়েছে। রেজিনা দাবি জানিয়েছেন, তাদের কাবুল থেকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাপিবাবু নিজে প্রাক্তন সেনা কর্মী। তার বয়স ৪০ বছর।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অনেকে
বাপিবাবুর মতই অন্যান্য পাহাড়ের বাসিন্দারাও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন। কেউ মার্কিন কোম্পানিতে, কেউ আবার ভারতীয় কোম্পানিতে। আফগানিস্থানে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় রয়েছেন সুপারভাইজার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা স্টোর ম্যানেজারের কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেকে।
উদ্বেগে ঘুম উড়েছে পরিবারের
প্রত্যেকটি পরিবারেই এখন উদ্বেগ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক তালিবানি ঘটনার খবর টিভিতে, সংবাদপত্রে, নিউজ পোর্টালে মেলার পর থেকেই প্রত্যেকের রাতের ঘুম উড়েছে। তবে কাবুল থেকে দুবাই আসার খবরে খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। আফগানিস্তান থেকে আরবে চলে আসতে পারলে আর চিন্তার কিছু থাকবে না বলেও আশা করছেন তাঁরা। তবে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। প্রত্যেকটি পরিবার তাঁদের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। যাঁরা এখনও কথা বলতে পারেননি, তাঁদের উদ্বেগ চরমে।
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক
তবে রাজ্য-কেন্দ্র, যাঁরা আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। এখন ঘরের ছেলেরা কবে ঘরে ফিরে আসেন, তাঁর অপেক্ষায় পাহাড়ের ৪১টি পরিবার। তাঁদের এখন দাবি, বেশি টাকা নয়, ফিরুক ছেলে।