scorecardresearch
 

দার্জিলিং হচ্ছে স্ট্রাইক ফ্রি জোন, পর্যটকদের পোয়াবারো

অনেক হয়েছে। আর বনধ নয় দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিং এবার থেকে হচ্ছে স্ট্রাইক ফ্রি জোন। ফলে আর চিন্তা নেই, আগাম বুকিং করতেও বাধা নেই। শুধু ব্যাগ প্যাক করুন আর বেরিয়ে পড়ুন টইটই-য়ে।

Advertisement
স্ট্রাইক ফ্রি জোন হচ্ছে দার্জিলিং স্ট্রাইক ফ্রি জোন হচ্ছে দার্জিলিং
হাইলাইটস
  • দার্জিলিং হচ্ছে স্ট্রাইক ফ্রি জোন
  • আর বনধ নয় দার্জিলিংয়ে
  • পর্যটনের জন্য় দারুণ সুখবর

কয়েক দশকে পাহাড় কম বনধ-বিক্ষোভ-আন্দোলন দেখেনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় লাগাতার বনধে একাধিকবার বিপর্যস্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং পাহাড়। এ কারণে পাহাড়ের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারবার।  লাগাতার বনধে বিপুল ক্ষতি স্বীকার করেছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। পাহাড়ের পর্যটন শিল্প যাকে বলে একেবারে ধসে পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি আর কোনও ভাবেই পাহাড়ে হতে দেবেন না বসে ঘোষণা করেছেন অজয় এডওয়ার্ড। হামরো পার্টির প্রধান বলেছেন পাহাড়ে আর বনধের রাজনীতি তিনি হতে দেবেন না। 

দার্জিলিং হচ্ছে স্ট্রাইক ফ্রি জোন

 ২০১৭ সালে ধারাবাহিক হিংসার ঘটনার পর থেকে একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়ে পাহাড় ছাড়া হন বিমল গুরুং। তারপর বিমলেরই একদা অনুগত বিনয় তামাং, অনিত থাপারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে পাহাড়ে শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল হন। তারপর থেকে আর বন্ধ হয়নি পাহাড়ে। করোনার পর থেকে এমনিতেই শিরদাঁড়া সোজা করতে পারেনি দার্জিলিং পাহাড়। তাই নতুন করে কোনও ইস্যুতে বনধ হলে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাহাড়ের জনতা, ভেঙে পড়বে অর্থনীতি। তাই ভবিষ্যতেও যাতে কোনও দিন বনধ না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে দার্জিলিংকে স্ট্রাইক ফ্রি জোন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং পুরসভার নতুন ক্ষমতাসীন দল।

পর্যটক দেবো ভবঃ

দলের নাম হামরো পার্টি। দলের প্রেসিডেন্ট গ্লেনারিজ কনফেকশনারিজের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ড। পাহাড়ে পর্যটকদের কোনও রকম অসুবিধা হতে দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাতে একদিকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে, পাশাপাশি অর্থনীতিতে স্থিতি আসবে। ঘোষণা করে দিয়েছেন অজয়।দার্জিলিং পুরসভায় নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর এমনটাই ইঙ্গিত দেন পার্টির সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড। এমনকী প্রতি ছয় মাস পরপর দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে নবগঠিত হামরো পার্টির। অজয় এডওয়ার্ড জানান, এখনও চূড়ান্ত না হলেও প্রত্যেকেরই নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়া উচিত। তবে যা হবে তা পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন অনুযায়ী হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

৩২ টি ওয়ার্ডে স্ট্রাইক হবে না

দার্জিলিং পুর এলাকার ৩২টি ওয়ার্ডকে স্ট্রাইক ফ্রি জোন করার কথাও ফের একবার ঘোষণা করেন অজয় এডওয়ার্ড। তিনি জানান, দার্জিলিংকে নোংরা ও বনধ মুক্ত শহর করে গড়ে তুলতে চান। তা ছাড়া দার্জিলিংয়ে নেপালি ভাষাকেই সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিতে চান বলে এদিন জানান তিনি। পাহাড়ে সমস্ত পথ নির্দেশিকাও ইংরেজি ও নেপালি ভাষায় লেখা থাকবে বলে জানান অজয়।
 

 

Advertisement