scorecardresearch
 

মালদায় ভাঙনে মুছে যাচ্ছে গ্রাম, ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে অসহায় মানুষ

মালদায় ভাঙনে মুছে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বীরনগর, বৈষ্ণবনগর সহ কালিয়াচকের বিভিন্ন এলাকায় নদীর অগ্রাসী মনোভাব পার ভাঙছে। ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে অসহায় মানুষ। ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ মানুষের।

Advertisement
পার ভাঙছে, মানুষের মনও পার ভাঙছে, মানুষের মনও
হাইলাইটস
  • মালদায় ভাঙন অব্যাহত
  • ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে গ্রামবাসী
  • মুছে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম

মালদায় ভাঙন অব্যাহত

কালিয়াচকের পর বৈষ্ণবনগর। মালদায় ভাঙন অব্যাহত। ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। অসংখ্য বাড়ি নদীর পারে ঝুলছে। যে কোনও মুহূর্তে নদীর জলের তোড়ে তলিয়ে যেতে পারে। ফলে মানুষ স্থানীয় স্কুলবাড়ি, সরকারি অফিসে আশ্রয় নিয়েছে। 

ভোর রাত থেকে ব্যাপক ভাঙন

কালিয়াচকের তিন নম্বর ব্লকের বীরনগর এর পাশাপাশি ভাঙ্গন শুরু হয়েছে পার অনুপনগর গ্রামে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। ভাঙন রোধের কাজে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ভোর রাত থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা।

গঙ্গা গিলে খাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, কৃষিজমি

গঙ্গা গিলে খাচ্ছে একের পর এক বাড়ি কৃষিজমি। ইতিমধ্যে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেছে ৭০ টিরও বেশি বাড়ি। জলমগ্ন ১৫০ বিঘা কৃষিজমি। জল বাড়তেই রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছে গঙ্গা। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে একের পর এক বাড়ি ও জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ এই বছর যেভাবে গঙ্গা ভাঙ্গন চলছে তাতে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ যে কাজ করছে তাতে ভাঙ্গন রোধ করা যাবে না। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতর।

জলের তলায় চলে যাচ্ছে আস্ত গ্রাম

আবারও ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে এবার মালদার বৈষ্ণবনগরও। তীব্র ভাঙনের পাশাপাশি নদীর পাড় ভেঙে ঢুকে পড়ছে পার অনুপনগর গ্রামে। গৃহহীন প্রায় ২৩০টি পরিবার। ১ ঘন্টার মধ্যে তলিয়ে গেল গেছে ১০০ মিটারের ও বেশি এলাকা। তলিয়ে গেছে বহু কৃষিজমি।

ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

Advertisement

ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। গঙ্গার আগ্রাসী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে,আম বাগানের নীচে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২৩০ টি গৃহহীন পরিবার। জেলা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী এবং সুরক্ষিত আবাসের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

 

Advertisement