বড়দিনের শুরুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে অন্ধকারে ডুবলো পর্যটদের ভিড়ে ঠাসা চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র।শনিবার দুপুর দুটো থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চিলাপাতার। এর জেরে বিপাকে পড়েন বড়দিনে চিলাপাতায় বেড়াতে আসা কয়েকশ দেশ-বিদেশের পর্যটক। বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে পর্যটকরা ক্ষোভ উগরে দেন হোটেল ও হোমস্টের মালিকদের বিরুদ্ধে।
হোটেল, হোমস্টে মালিকদের সঙ্গে পর্যটকদের ঝামেলা
বেশ কয়েককটি হোটেল, হোমস্টের মালিকদের সাথে পর্যটকরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টের মালিকরা। দুপুর থেকে চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের কোন কর্মী কিংবা আধিকারিক চিলাপাতায় পৌঁছয়নি।
এর আগেও চিলাপাতায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়তে হয়েছে
এর আগেও দুর্গাপুজোর মরশুমে চিলাপাতায় বেড়াতে এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়েন পর্যটক মহল। এদিন চিলাপাতার আন্ডু, বানিয়াবস্তি,চকোয়াখেতি কুরমাই,উত্তর সিমলাবাড়ি সহ বিস্তির্ন এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পর্যটকরা মোবাইল, ক্যামেরা, ল্যাপটপ চার্জ করতে না পেরে বিপাকে পড়েন।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাতিল একের পর এক
চিলাপাতায় বর্তমানে ২২ টি হোমস্টে, লজ, রিসর্ট, রয়েছে। বড় দিন উপলক্ষে চিলাপাতার সমস্ত হোমস্টে, লজ রিসর্ট পর্যটকদের ভিড়ে গমগম করছে। এদিন অনেক হোটেল, লজ, রিসর্টেই বড়দিন উপলক্ষে গান, বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা সেই অনুষ্ঠান সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চালু করতে পারেনি।
বিকল্প ব্যবস্থা নেই, সমস্য়ায় পর্যটকরা
কলকাতার দমদম থেকে পরিবার নিয়ে চিলাপাতায় বেড়াতে আসা প্রবীণ নাগরিক আশুতোষ বিশ্বাস বলেন দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আমার মোবাইল চার্জ দিতে পারিনি। ফলে সুইচ অফ হয়ে যায়। তাই বাড়ির সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। কখন কারেন্ট আসবে কেউ বলতে পারছে না। গোটা হোমস্টে অন্ধকারে ডুবে আছে। পর্যটনকেন্দ্রে বিকল্প ব্যবস্থা নেই কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পর্যটনে কোপ পড়তে পারে চিলাপাতায়
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কনভেনর অভীক গুপ্তা বলেন, মাঝেমধ্যেই এই রকম ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। এদিকে পর্যটকরা এমন বিপাকে পড়লে আমাদের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যটন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে বিদ্যু দপ্তরের গাফিলতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।