scorecardresearch
 

বস্তি এলাকার দখল নিতে পাঁচ সাফাইকর্মী লড়বেন শিলিগুড়ি পুরভোটে

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৫ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছে পুরনিগমের সাফাই কর্মীরা। ইতিমধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তারা। তাঁরা নির্দল হিসেবে লড়বেন।

Advertisement
পাঁচ সাফাইকর্মী পাঁচ সাফাইকর্মী
হাইলাইটস
  • পাঁচ ওয়ার্ডে লড়বেন সাফাইকর্মীরা
  • নির্দল হিসেবেই লড়ছেন তাঁরা
  • বস্তি এলাকায় শক্তি পরীক্ষা করবেন

এই শহরকে সাফাই করে যারা প্রতিদিন স্বচ্ছ এবং সুন্দর রাখেন, এবার তাঁরাই পুরনির্বাচনে প্রার্থী। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৫ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছে পুরনিগমের সাফাই কর্মীরা। ইতিমধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন তারা। শহরকে সুন্দর সরকার সাজিয়ে তুলে উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার মূল লক্ষ্য সাফাই কর্মীদের।

জনপ্রতিনিধি হতে চান সাফাইকর্মীরা

শহরকে ঝাঁ-চকচকে এবং পরিষ্কার রাখতে শহরের প্রতিটি এলাকায় প্রতিদিন সকালে ঝাড়ু হাতে কাকভোরে বেরিয়ে পড়ে সাফাই কর্মীরা। শহরের জঞ্জালকে পরিষ্কার করে সুস্থ্ এবং স্বচ্ছ রাখেন এঁরাই। তবে এবার ওয়ার্ডের শুধু সাফাই নয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পুরনিগমের পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হল সাফাইকর্মীরা। মূলত এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে শহরের উন্নয়নের অংশীদার হওয়াই লক্ষ্য সাফাই কর্মীরাদের।

কর্মী

বস্তি এলাকার দখল নিতে চান

উত্তরবঙ্গ সাফাই কর্মচারী সমিতি শিলিগুড়ি পুরসভার ১, ৫, ১৪, ১৮ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের সদস্যদের নির্দল প্রার্থী করেছে। এতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সানি রাউত, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে  রিনা রাউত, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুনম হেলা, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রদীপ দাস এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে খুশবু রাউত প্রার্থী হয়েছেন।

বড় দলের ভোট কাটা নয়, জয়ই লক্ষ্য

জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গে মোট সাফাই কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখের বেশি। এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরনিগমের আওতায় মোট সাফাই কর্মী রয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ জন যার মধ্যে ৩২৪ জন স্থায়ী বাকিরা দিন মজুর। পাশাপাশি শিলিগুড়িতে হরিজন সম্প্রদায়ের রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। ফলে উত্তরবঙ্গ সাফাই কর্মচারী সমিতির আশা এই বড় অংশের ভোট তাদের দিকেই যাবে। 

Advertisement

জিতলে পরবর্তী ভাবনা

সংবাদমাধমে উত্তরবঙ্গ সাফাই কর্মচারী সমিতির সভাপতি কিরণ রাউত বলেন, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে শহরের উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার জন্যই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। বংশ পরম্পরায় আমরা এতদিন শহরকে পরিষ্কার রাখার জন্য সাফাইয়ের কাজই করে এসেছি। এখনও সেই কাজ করে চলেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যেও প্রতিভা আছে, স্বপ্ন আছে। এবার আমরা চাইছি সামনে আসতে। এদিন কিরণবাবু আরও বলেন, আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচন লড়ছি না। শহরের উন্নয়নের জন্য যদি কোনও দল আমাদের সমর্থন চায় তখন পরিস্থিতির বিচারে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব। এখনই আমরা এ ব্যাপারে কিছু চিন্তা ভাবনা করছি না।

Advertisement