পাচারের আগে এনজেপি থানার সক্রিয়তায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মদ, গ্রেপ্তার ২ দুষ্কৃতী
বিহারে মদ নিষিদ্ধ?
মদ বর্জিত বিহারে চোরাপথে বিপুল পরিমাণ মদ পাচারের সময় শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭১৩ কার্টন মদ। বিদেশি বিভিন্ন দামের মদ রয়েছে এই কার্টনে। বিহারে মদ আইনিভাবে নিষিদ্ধ। এগুলি বিভিন্ন ধাবা, হোটেলে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউনে সক্রিয় পাচার চক্র
অন্য সময় নাকের ডগা দিয়ে মদ নিয়ে গেলেও সব সময় ধরার উপায় থাকে না। কিন্তু লকডাউনে হয়েছে বিপত্তি। এমনিতেই মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার উপর নিজেদের এলাকায় মদ নিষিদ্ধ থাকায় খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই পাচারে নেমেছিল তারা। মাঝপথে পুলিশের নজরে পড়ে দেখা দিল বিপত্তি। আপাতত শ্রীঘরে তারা। এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পাঠানো হলে তাদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশি পদক্ষেপ
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে ফুলবাড়ি টোলগেট এলাকাতে তল্লাশি শুরু করে সাদা পোশাকের পুলিশ। অসম থেকে বিহারগামী একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে বিদেশি মদ। গ্রেপ্তার করা হয় ট্রাক চালক জিতেন্দ্র সিং সহ সহকারি চালক সনু কুমারকে। তারা দুজনেরই বিহারের বাসিন্দা।
নথি ছাড়াই মদ বোঝাই
তাদের কাছে মদের কাগজ দেখতে চাইলে কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারে না তারা। পুলিশ গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘালয় থেকে বিহারে পাচারে জন্য এই বিদেশী মদ অবৈধ ভাবে নিয়ে যাচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া মদের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার বেশি।
আদালতে পেশ
বৃহস্পতিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করে তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন জানানো হবে আদালতের কাছে। যেখানে বিহার,পশ্চিমবঙ্গ,সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন লাগু রয়েছে, সেখানে কীভাবে লকডাউনকে উপেক্ষা করে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বিভিন্ন রাজ্য পেরিয়ে বিহারে মদের কারবার করছে মদ মাফিয়ারা, তা নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশা একটা থেকে যাচ্ছে।