২০১১ থেকে GTA তৈরি হবার পর থেকে এখানে প্রতি বছর রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। সেটা এখনও পর্যন্ত একবারও দেওয়া হয়নি। তবে জিটিএকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার ১০ বছরে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। তবে জিটিএ ১০ বছর ধরে কোনও রিপোর্ট দেয়নি। এটা অবিশ্বাস্য। শুক্রবার ছুটি কাটিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কলকাতা ফিরে যাওয়ার আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও একবার বিষ ঝরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানেই এ কথা বলেন তিনি।
জিটিএ-তে একবারও অডিট হয়নি
তিনি বলেন, CAG অডিট এর প্রয়োজন রয়েছে প্রতি বছর। এক বছরও অডিট হয়নি GTA তে একবার নির্বাচন হয়েছে তারপর থেকে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। শাসন ক্ষমতা দেখে সেখানকার রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের বসানো হয়েছে। জিটিএ তে দুর্নীতির একটা বড় আশঙ্কা রয়েছে। এটা ভালো রাজ্যের শাসন প্রণালী হতে পারে না।
একই লোককে বারবার নিয়োগ হচ্ছে
অর্থ কমিশনের একমাত্র কাজ সংবিধান মেনে রাজ্যপালকে প্রস্তাব পাঠানো কিন্তু শেষ অর্থ কমিশন রাজ্যপালকে কোনো প্রস্তাব পাঠায়নি। আর রাজ্যসরকার একই মানুষকে বারবার নিয়োগ করে চলছে। আমি এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের জিজ্ঞেস করেছিলাম আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কথা হচ্ছে রাজ্যপাল কোনো সরকারি আধিকারিকদের থেকে পাঠাতে পারে না। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটা সরকারি আধিকারিক রাজ্যপাল ডেকে পাঠালে আসা উচিত।
২ হাজার কোটির দুর্নীতি
অতিমারির সময় ২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ধারণা করতে পারিনি একজন অভিজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রী আমাকে চিঠি দিয়ে এই ধরনের উত্তর দেবে। কিন্তু তিনি তিনজনকে নিয়োগ করে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করছেন। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কোথায়, কেন সেই রিপোর্ট প্রকাশ আনা হচ্ছে না? কেন রাজ্যপালকে সে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না?
কোথায় লগ্নি জানে না কেউ
বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট হয়েছে বলা হয়েছে। রাজ্যে ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। আমি সাধারণভাবে জিজ্ঞেস করেছি, কোথায় সেটা, কারা কারা করেছে বিনিয়োগ? সেটার কোনও উত্তর আসেনি।আমি অন্ডাল বিমানবন্দর সম্পর্কেও রিপোর্ট চেয়েছিলাম তারও কোন রিপোর্ট আসেনি।
সংবিধান মানতে অনুরোধ রাজ্যকে
বুলবুলের কারণে রাজ্যে ভালো ক্ষতি হয়েছে আম্ফান তিনি সেই সব বিষয়ে আমার সাথে দেখা করেনি কোনও রিপোর্ট দেননি। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা , আমি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব তারা যাতে সংবিধান মেনে চলে।