scorecardresearch
 

গোর্খাল্যান্ড ইস্যু ছাড়াই সফল, দার্জিলিঙে হামরো-উত্থান কেমন?

এখন থেকে গ্লেনারিজ-এই থাকবে পাহাড়ের কর্তৃত্বের চাবিকাঠি।বিনয় তামাং-অনিত থাপার দেখানো পথেই শান্তি ও উন্নয়নের রাস্তায় সাফল্য অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির।

ছবি সৌজন্য: হামরো পার্টি ফেসবুক প্রোফাইল ছবি সৌজন্য: হামরো পার্টি ফেসবুক প্রোফাইল
হাইলাইটস
  • 'গোর্খাল্যান্ড' এর জিগির সরিয়ে সাফল্য
  • দার্জিলিঙে হামরো-উত্থান

গোর্খাল্যান্ডের ভুয়ো জিগির নয়। উন্নয়ন এবং মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েই বাজিমাত মাত্র কয়েক মাসের হামরো পার্টি( Ha mro Party)-র দার্জিলিঙে কয়েক মাসের দল পুরসভার দখল নিয়ে এখন দিল্লির আম আদমি পার্টির মতোই চমক দিয়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

গ্লেনারিজ-এই এখন শাসনভার

দার্জিলিং এ গেলেই তামাম পর্যটকেরা যেখানে সময় কাটাতে যেতে চান, সেই glenary's এর কর্ণধার অজয়ের এডওয়ার্ডের হাতে দার্জিলিং পৌরসভা। কে হবেন নতুন চেয়ারম্যান তা ঠিক করা হবে কদিনের মধ্যেই। ৩২ আসনের মধ্যে আঠারোটি জিতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করে নিলেন তিনি তার দল।

কয়েক দশকের রীতি বদল

শেষ লোকসভাতেও অঙ্কটা ছিল অন্য রকম। কয়েক দশকের রীতি মেনে বিমল রোশনদের বড় দলের হাত ধরে আসন দখল করেছিল বিজেপি। এর আগে যারাই পাহাড়ের বড় দলের সঙ্গে থেকেছে, তারাই সাংসদ পদ নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই মোহভঙ্গ হচ্ছিল জনতার। একদিকে বিমল-রোশনের মোর্চাকে বড় দলের তকমা দেওয়া যাচ্ছিল না, তার কারণ তারা ভেঙে দু টুকরো হয়ে গিয়েছিল এবং বিমল এবং বিনয় শিবিরে ভেঙে। পরে নিজেদের মধ্যে বচসায় বিভক্ত হয়ে যায় বিনয় শিবিরও। বিনয় যোগ দেন তৃণমূলে। অনিত থাপাও নিজের পৃথক দল গঠন করেন। এই নিয়ে পাহাড়ে গত এক-দেড় বছর ধরে রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। অন্যদিকে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজের আলাদা দল গঠন করেন glenary's কর্ণধার। হামরো পার্টি পুরসভার আগে ঘোষণা করে সব আসনে প্রার্থী দেবে এরপরে বাকিটা ইতিহাস।

উন্নয়নই চাবিকাঠি

যদিও নিজে যে আসনে দাঁড়িয়েছিলেন, সে আসনের হেরে গিয়েছেন অজয়। তবে তার দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি পরাজয় মেনে নিয়ে মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মূলত পানীয় জলের সমস্যা এবং রাস্তা উন্নয়ন এ দুটি ক্ষেত্রে পুরো এলাকায় ঢেলে কাজ করতে চায় অজয়। তার দল তিনি নিজে পরাজিত হলেও কাজে কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অজয় নিজেই।

বিনয়ের দেখানো পথেই অজয়

সুভাষ ঘিসিং থেকে বিমল গুরুং। আন্দোলনের জেরে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে পাহাড়ে। গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্নকে জিইয়ে রেখে তাকে বিক্রি করেই নিজেদের আখের গুছিয়েছে বিভিন্ন দল। জিএনএলএফ থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, পদ্ধতি ছিল একই। সেখান থেকে প্রথম বার সরে এসে মানুষকে বোঝানোর কৃতিত্ব অবশ্য বিনয় তামাংয়ের।উন্নয়নই শান্তির চাবিকাঠি হতে পারে তা বুঝিয়ে ছিলেন তারা। অশান্তির সময়ে বিমলকে সরিয়ে পাহাড়ের নিজেদের হাতে রেখে যে বীজ বপন করেছিলেন, অজয়ের হাতে তা পূর্ণতা পেল। নিজেদের মধ্যে রেষারেষিতে দল ভেঙে যাওয়ায় অজয়ের পথ সুগম হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।