উত্তরবঙ্গ থেকে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন, তা রবিবার বিকেলে নবান্নের প্রকাশ করা তালিকা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গ থেকে ৫ জনকে মন্ত্রী তালিকা ঠাঁই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে দুজন পূর্ণমন্ত্রী, একজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং বাকি দুজন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন, তা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা জেনে গিয়েছিলেন গতকালই।
উত্তরের কে কোন দফতর?
সোমবার সকালে রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠানে দপ্তর বন্টন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কে কোন মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সেখানেই ঘোষণা হয় উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র কে কৃষি বিপণন মন্ত্রী করা হল। মহম্মদ গোলাম রব্বানিকে সংখ্যালঘু দপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী করা হয়েছে।
স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী
মালবাজারের বিধায়ক বুলু চিক বরাইককে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। তাঁকে এই পদে মন্ত্রী করার দাবি উঠেছিল উত্তরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে। ফলে বুলুবাবুর এই মন্ত্রীত্ব প্রাপ্তিতে খুশি আদিবাসী মহাসংঘ।
দুই প্রতিমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গের দুই প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী পেয়েছেন স্কুল শিক্ষা এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। এই দপ্তরটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রেখেছেন।
উত্তরে তৃণমূলের ফলের ভিত্তিতে মন্ত্রীত্ব
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের খারাপ ফলের মধ্যেও উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম মালদা। কিছুটা জলপাইগুড়ি, মিশ্র ফল দিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিনাজপুর। ফলে সেখান থেকেও কিছু নাম উঠে এসেছিল। মালদার সুজাপুরে ইশা খান চৌধুরীর মতো হেভিওয়েটকে হারিয়ে মন্ত্রীত্বের দাবির তালিকায় নাম ঘোরাফেরা করছিল মহম্মদ গনিরও। তবে আপাতত তাঁকে প্রাথমিক মন্ত্রী তালিকায় রাখা হচ্ছে না।
পরবর্তীতে আরও কয়েকজন মন্ত্রীত্বের তালিকায় ঢুকতে পারেন
আপাতত এই তালিকা থাকলেও পরে মন্ত্রীত্বের রদবদলে ও সংযোজনে নাম থাকতে পারে আরও কয়েক জনের বলে খবর। উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকজনের নাম আলোচনায় থাকলেও তাঁদের আপাতত জায়গা হচ্ছে না। মালদার মহম্মদ গনি, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, উত্তর দিনাজপুরের আব্দুল করিম চৌধুরীর নাম রয়েছে আলোচনায়। তবে আপাতত তাদের বিধায়ক হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।