scorecardresearch
 

MD Manik Malbazar: জলের তোড়েই দিলেন এক ঝাঁপ, সোশ্যাল মিডিয়ায় VIRAL মালবাজারের মানিকের সেই VIDEO

MD Manik Malbazar: সোস্যাল সাইটে এখন ট্রেন্ডিং মহম্মদ মানিকের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্য। তা শেয়ার আর কমেন্টের বন্যায় ভাসছে। এসব নিয়ে অবশ্য নির্বিকার যাঁকে নিয়ে এত হইচই সেই মানিক। তাঁর আক্ষেপ যদি আরও একটু সময় পেতাম, যদি আরও কেউ সাঁতার জানা লোক থাকতো। তাহলে হয়তো সবাইকে বাঁচানো যেত।

Advertisement
সোসাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং মালবাজারের মহম্মদ মানিক সোসাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং মালবাজারের মহম্মদ মানিক
হাইলাইটস
  • সোস্যাল সাইটে এখন ট্রেন্ডিং মহম্মদ মানিকের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্য
  • টুইটারে ভাইরাল এখন কয়েক মিনিটের অডিও ক্লিপিং

জলপাইগুড়ির মালবাজারের মহম্মদ মানিকের দুর্গা-প্রতিমা বিসর্জনের সময় আচমকা আসা ফ্ল্যাশ ফ্লাডে ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্য এখন ভাইরাল। টুইটারেও ঝড় তুলেছে এখন সেই কয়েক মিনিটের ভিডিও ক্লিপিং। মহম্মদ মানিকের নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় ১০ জনকে উদ্ধারের ঘটনার ঘোর কাটছে না যেন কারওই।

বিসর্জন চলাকালীনই মানিক দেখেছিলেন কীভাবে আচমকা আসা বাণে তলিয়ে যাচ্ছিল সাধারণ মানুষ। বাচ্চা থেকে মাঝবয়সি, বৃদ্ধ, কেউই হঠাৎ চোরাটান থেকে কেউ  সামলাতে পারছে না। যা দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি মানিক। নিজে যখন সাঁতার জানেন, সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। তিনি ঝাঁপিয়ে না পড়লে মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত। কে সেই মানিক, এখন সোস্যাল সাইটে তাঁর নামই সার্চ করছেন আমজনতা।

কে এই মহম্মদ মানিক?

পারিবারিক পরিচয়

জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার পশ্চিম তেশিমলা গ্রামে মানিকের বাড়ি। পেশায় তিনি লোহার গ্রিল ঝালাইয়ের মিস্ত্রি। বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, ভাই ও বোন, স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান। 

এলাকায় সামাজিক কাজে তাঁর পরিচিতি রয়েছে

পড়শিরা জানাচ্ছেন, মানিককে এলাকার সবাই পরোপকারী হিসেবেই চেনে। যে কোনও সময় কারও বিপদ হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। তাই মানিকের এই কাজে গর্বিত। তবে কেউই অবাক হননি। অনেকেই জানান ও তো এরকমই।

পারিবারিক দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই

Advertisement

নিম্নবিত্ত পরিবার। মূলত মানিকের আয়েই সংসার চলে। তাঁর কিছু হয়ে গেলে পরিবার পথে বসতো। নিজেরও ছোট শিশু রয়েছে। কিন্তু ওসব চিন্তা করার মতো সময় পাননি নিজেই জানিয়েছেন। 

এলাকার দুর্গাপুজোয় জন্মাবধি শামিল হয়ে এসেছেন। বিসর্জনও দেখতে যান প্রতি বছর। এবারও গিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের বিসর্জনে এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে হবে তা কল্পনাও করেননি।তিনি নিজেই জানিয়েছেন, "ভয়াবহ দৃশ্য। ভুলতেই পারছি না। কত কত মানুষ ভেসে যাচ্ছিল। চোখের সামনে! চারিদিকে শুধু চিৎকার আর আর্তনাদ। এ সব দেখে আর কিছুই ভাবিনি আমি। জীবনের ঝুঁকির কথা তখন মাথাতেও আসেনি।‘ওই বানে অনেক শিশু ভেসে যাচ্ছিল। সে দিকে তাকিয়ে আমার বাচ্চাটার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই আর কিছু ভাবিনি, জলে ঝাঁপ দিয়েছি।’’

ছোটবেলায় খেলাচ্ছলে সাঁতার শেখা কাজে দিল

ছোট থেকেই নদী-নালার সঙ্গেই বেড়ে ওঠা। তাই অনেক ছোটতেই সাঁতার শিখেছিলেন। এতদিন তা ছিল শুধু নিছকই শখের সাঁতার। সেটাই জীবনে কাজে লেগে গেল। জীবনে যে কিছুই ফেলনা নয়, তা বুঝতে পেরেছেন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। তবে এভাবে হড়পা বান আসা তাঁর কাছে নতুন নয়, তাই ভয় থাকলেও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁর।

উঁচু পাড় থেকে জলে ঝাঁপ দেওয়ার সময় পায়ে চোটও পান মানিক। আঘাত লেগে রক্তও বেরোয় থাকে। মানিকের আফশোস "সবাইকে বাঁচাতে পারলাম না।" আরও একটু সময় পেলে বাঁচাতেও পারতেন। তাঁর আক্ষেপ সাঁতার জানা লোক তেমন ছিল না। থাকলে হয়তো আরও মানুষ রক্ষা পেত।

 

Advertisement