করোনার প্রকোপে এবার বন্ধ হল মিরিক লেক, মিরিক গার্ডেন

এবার করোনার বাড়বাড়ন্ত রোধে বহির্জগৎ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চলেছে উত্তরের পর্যটকদের অন্যতম দ্রষ্টব্য মিরিক। বন্ধ হতে চলেছে মিরিকের দর্শনীয় ও পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সুমেন্দু লেকও। পর্যটকদের জন্য বন্ধ হচ্ছে মিরিক গার্ডেন। এছাড়াও মিরিকের সমস্ত ট্যুরিস্ট লজ ও হোটেলেও বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement
করোনার প্রকোপে এবার বন্ধ হল মিরিক লেক, মিরিক গার্ডেনমিরিক সুমেন্দু লেক
হাইলাইটস
  • মিরিক লেক বন্ধ হলো অনির্দিষ্টকালের জন্য
  • বন্ধ হচ্ছে মিরিক গার্ডেনও
  • বন্ধ হতে পারে হোটেল-লজ গুলিও

এবার করোনার বাড়বাড়ন্ত রোধে বহির্জগৎ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চলেছে উত্তরের পর্যটকদের অন্যতম দ্রষ্টব্য মিরিক। মিরিক পুরসভার তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। মঙ্গলবার বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই।

মিরিক লেকেও নিষেধাজ্ঞা

বন্ধ হতে চলেছে মিরিকের দর্শনীয় ও পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সুমেন্দু লেকও। প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণ পর্যটকদেরও হচ্ছে মিরিক লেককে কেন্দ্র করে। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে এবার মিরিক লেকের দরজা বন্ধ হচ্ছে পর্যটকদের জন্য। বন্ধ হচ্ছে মিরিক গার্ডেন। এছাড়াও মিরিকের সমস্ত ট্যুরিস্ট লজ ও হোটেলেও বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

সংক্রমণ বৃদ্ধি মিরিকে

মিরিকেও বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। মিরিক লেক দর্শনে বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক প্রতিদিন যান। মূলত লেককে কেন্দ্র করেই চারপাশে পর্যটনকেন্দ্রগুলি গড়ে উঠেছে। আশপাশের হোটেলগুলির রাজস্ব আদায় হয় লেকের উপর নির্ভর করেই।  ফলে কোনও পর্যটক করোনা সংক্রমিত থাকলে তাতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সে কারণে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক আধিকারিক ও মিরিক পুরসভা।

চেয়ারম্যানের দাবি

মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান এলবি রাই জানান,  করোনা বাড়ছে। তাই সেকথা চিন্তা করে আমরা মিরিক লেক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম। পাশাপাশি হোটেল লজগুলিকেও অনুরোধ করা হচ্ছে প্রকোপ না কমা পর্যন্ত তাঁদের লজগুলি যাতে বন্ধ রাখা হয়। এমনিতেই লেক বন্ধ রাখলে পর্যটক যাতায়াত কমে যাবে বলে জানালেন এক হোটেল মালিক।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি

পর্যটনব্যবসায়ী সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল অবশ্য মনে করেন, এই মুহূর্তে এটা সময়োচিত সিদ্ধান্ত। এতে পর্যটনে আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়বে না। এমনিতেই এই পরিস্থিতিতে গত এক মাসে একের পর এক বুকিং ক্যান্সেল হয়েছে। ফলে এই সময়ে মাত্র স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ১০ শতাংশ বুকিংয়ে কাজ চলছিল। সেটুকিও বন্ধ হলে হবে। কিছু করার নেই। হতাশা ঝড়ে পড়লো তাঁর গলায়।

 

POST A COMMENT
Advertisement