বিমান পরিষেবা বন্ধ, ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের লম্বা তালিকা। ভিড় সামলাতে পারছেন না নিয়মিত ট্রেন পরিষেবা।এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বাড়তি স্পেশাল ট্রেন চালু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। শিলিগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত চলবে এই স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনে থাকছে বাতানুকুলিত কোচ সহ সাধারণ স্লিপার ক্লাস। রেলের ধারণা এই ট্রেন পরিষেবার ফলে পর্যটকদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
বিমান বন্ধ, বাসে জায়গা নেই
শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে রানওয়ে মেরামতির জন্য চলতি মাসের ১১ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ওই বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের আসা পর্যটকরা সমস্যায় পড়েছে। উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের একটা বড় অংশ নির্ভর করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপর। বিমান পরিষেবা বন্ধ হতেই ট্রেনের ওপর চাপ বেড়েছে। যার ফলে ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের তালিকা লম্বা হচ্ছে। পাশাপাশি লাক্সারি ভলভো বাসগুলিতে টিকিট অধিকাংশই বুকিং ফুল। মিলছে না।
যাত্রীরা ফিরতে ট্রেন পাচ্ছেন না
স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ছে পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের সুবিধার্থে সম্প্রতি তিনটে সামার স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তারপরেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে যাত্রীরা। তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ওই স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করা হল।
কত দিন এবং কোন সময় চলবে ট্রেন?
জানা গিয়েছে, ১৭ই এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পরিষেবা দেবে ওই ট্রেন। প্রতি রবিবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রওনা দেবে এবং সোমবার হাওড়া থেকে আবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ফেরত আসবে ওই ট্রেন। রবিবার ভোর ৫:৩০ শে যাত্রা শুরু করবে ওই ট্রেন এবং পর দিন ৩:১৫ তে হাওড়া পৌঁছবে। সোমবার বিকেল ৪:৪০ এ হাওড়া থেকে রওনা হয়ে রবিবার ভোর ৫ টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছবে ট্রেন। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কিষাণগঞ্জ, বারসই, মালদা টাউন, আজিমগঞ্জ, কাটোয়া থেকে বেন্ডেল হয়ে হওয়া স্টেশনে প্রবেশ করবে ট্রেনটি। মোট ১৬টি কোচ রয়েছে ওই ট্রেনে। তার মধ্যে রয়েছে তিনটে এসি থ্রি টায়ার কোচ, পাঁচটি স্লিপার ক্লাস, ছয়টি জেনেরাল সেকেন্ড ক্লাস ও দুটো জিএসেএলআরডি কোচ।
কী বলছেন রেল আধিকারিক?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, "গরমের মরশুমে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই বেশি থাকে। ফলে তাদের সুবিধার্থে এই স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। আশা করছি, এই ট্রেন অনেকটাই ভিড় সামাল দিতে পারবে।"