আগে খগেশ্বর রায়কে মন্ত্রী করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। এবার মালবাজারের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তৃণমূলের বুলু চিক বরাইককে মন্ত্রী করার দাবি উঠল। দাবির পক্ষে সওয়াল করেছেন আদিবাসী মহাসংঘ। তাঁকে তফসিলি উপজাতি কল্যাণ জাতীয় কোনও মন্ত্রীত্ব দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
তফসিলি উপজাতি মন্ত্রী করার দাবি
বিধায়ক বুলু চিক বরাইককে ট্রাইবাল মিনিস্টার করা হোক বলে দাবি তুলেছে আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী মহাসংঘ। তিনবার পরপর জিতে জয়ের হ্য়াট্রিক করেছেন এই প্রবীণ বিধায়ক। উত্তরবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ের মধ্যেও নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানুষের সঙ্গে থাকার সুবাদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন বুলুবাবু। সেই সদক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁরা বুলবাবুকে মন্ত্রী হিসেবে চান। উনি মন্ত্রী হলে আদিবাসী সমাাজের জন্য সরাসরি কিছু কাজ করতে পারবেন তাঁরা।
সিপিএম থেকে তৃণমূলে
তিনি ২০১১ সালে সিপিএমের টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। তারপর তিনি কিছুদিন বাদে তৃণমূলে যােগ দেন। এবং ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে ফের নির্বাচিত হন। এবারও কড়া লড়াইয়ের পর তিনিই শেষ হাসি হাসেন।
দলের আস্থাভাজন
বরাবরই আদিবাসীদের পাশে থাকার সুবাদে তাঁকে এবার মন্ত্রী হিসেবে চাইছেন আদিবাসী মহাসংঘের সভাপতি সত্য বরাইক। সাম্প্রতিক নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসাধারণ জয়ের জন্য আদিবাসী মহাসঙ্ঘের সভাপতি অভিনন্দন জানিয়েছেন। সত্যবাবু বলেন, প্রাক্তন বিধায়ক জেমস কুজুরকে উপজাতি দফতর থেকে অপসারণের পর আর কোনও আদিবাসী বিধায়ক উত্তরবঙ্গ থেকে মন্ত্রীত্ব পায়নি। তিনি দলের প্রতি তাঁর আনুগত্য এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনে টিএমসি থেকে ডুয়ার্সে তাঁর একমাত্র জয়ের কথা বিবেচনা করে বুলু চিক বরাইককে উপজাতি বা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী করার জন্য বরার জন্য সিএম মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা
তিনি বলেন যে মাননীয় সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী এবং চা শ্রমিকদের জন্য বহু কল্যাণমূলক প্রকল্প শুরু করেছেন। জয় জোহর পেনশন প্রকল্পটি অনেক এসসি, এসটি প্রবীণ নাগরিককে সাহায্য করছে। বন্ধ চা বাগানে শ্রমিকদের আর্থিক ভাতা শ্রমিকদের সহায়তা করেছে।
টাস্ক ফোর্স কোনও কাজে লাগেনি
তবে, আদিবাসী টাস্ক ফোর্স এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বোর্ড গঠনের ফলে ডুয়ার্স-তরাইয়ের
আদিবাসী জনগণের কোনও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানান তিনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী জনগণ আদিবাসী টাস্কফোর্স এবং আদিবাসী উন্নয়ন বোর্ড সম্পর্কে মাথা ঘামান না। কারণ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বোর্ড পৃথকভাবে ডুয়ার্স-তরাইয়ের আদিবাসীদের জন্য কোনও সুবিধা দিতে পারে নি।
উত্তরবঙ্গে আলাদা উন্নয়ন প্রক্রিয়া চাইছেন তাঁরা
আদিবাসী মহাসংঘের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডুয়ার্স-তরাইয়ের আদিবাসী জনগণের জন্য পৃথকভাবে একটি উন্নয়ন প্রক্রিয়া গঠনের জন্য অনুরোধ করেছেন। সাদ্রি ভাষায় ১০০ টি স্কুল খোলার সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাকে সাদ্রি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সত্য বরাইক বলেন, ডুয়ার্স-তরাইয়ের আদিবাসী জনগণের জন্য পৃথক উন্নয়ন সেটআপ গঠন করা এবং সাদ্রী ভাষার স্বীকৃতি নিশ্চিতভাবে টিএমসি প্রতি আদিবাসীদের আস্থা ফিরে পেতে সহায়তা করবে।