scorecardresearch
 

এবার কোচবিহারে করোনা রুখতে হাতুড়েদের ব্যবহারে উদ্যোগী প্রশাসন

এবার কোচবিহারের অপ্রচলিত চিকিৎসকদের মেইনস্ট্রিমে আনার চেষ্টা শুরু হল। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের ৪ হাজার ২৬৩ জন ইনফরমাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • গ্রামীণ এলাকায় করোনা চিহ্নিত করতে সময় লাগছে
  • হাতুড়েদের আশা কর্মীদের সাহায্য়ে কাজের নির্দেশ
  • প্রশিক্ষণ দিয়েই কাজে নিয়োগ হাতুড়েদের

হাতুড়েদের কাজে লাগানোর উদ্যোগ কোচবিহারে

এবার কোচবিহারের অপ্রচলিত চিকিৎসকদের মেইনস্ট্রিমে আনার চেষ্টা শুরু হল। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের ৪ হাজার ২৬৩ জন ইনফরমাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণের কাজ শুরু

প্রতিটি ব্লকে শুরু হয়েছে তাদের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ এর পরে গ্রামীণ স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিষেবা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে 

স্বাস্থ্য দপ্তরে এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ইনফরমাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কাজে লাগানো একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইতিমধ্যে জেলাতে তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করার পর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দ্রুত ভিত্তিতে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কাজে নামানো হবে।

আশা কর্মী ও আইসিডিএস কর্মীদের সাহায্য করা হচ্ছে

বিশেষ করে বসে থাকা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলার আশা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তারা কাজ করবেন। যেহেতু আশা কর্মীদের কাছে এলাকাভিত্তিক তথ্য থাকে। তাই তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করলে তাদের পক্ষে সুবিধে হবে। তবে কোনও রোগী যদি বেশী অসুস্থ হওয়ার কৃত্রিম সাপোর্টের দরকার হয় তাহলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় নজর দিতে এই উদ্যোগ

মূলত শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোচবিহার জেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় অনেকের মধ্যে এখনও করোনা হলে তা চিহ্নিত করতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে। গ্রামীণ চিকিৎসকরা এই জায়গাতেই মানুষকে বুঝিয়ে এবং তাঁদের সঙ্গে মিশে একদিকে যেমন প্রচার চালাবেন, তেমনই প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন।

Advertisement

সাফল্যের আশা প্রশাসনেরকোনওভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকানোই জেলা শাসকের আশা। তাঁরা মনে করেছেন, এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষও যদি এগিয়ে আসে তাহলে আরও ভালো হয়। আশা কর্মীদের মতোই হাতুড়ে ডাক্তারদের প্রতি গ্রামীণ মানুষের মনোভাব অনেকটাই নরম। সেই জায়গা থেকে সাফল্যের আশা করছেন তাঁরা।

 

 

Advertisement