ওজন এত বেশি, তাই চালু হয়েও একটি বারের জন্যও ব্যবহার করা গেল না বক্সার দুর্গম পাহাড়ের গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঠের তৈরি পালকি আ্যম্বুলেন্স। ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করেও কার্যত ওইদিন থেকেই কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে পালকি আ্যম্বুল্যান্স পরিষেবা।
উদ্বোধনের পরই সেটি পড়ে রয়েছে বক্সা ফোর্টে
উদ্বোধনের পরই সেটি পড়ে রয়েছে বক্সা ফোর্টে। পালকি আ্যম্বুলেন্স ফোর্টে পড়ে থাকলেও সেই পুরনো পদ্ধতিতেই হাল্কা বাঁশের মাচায় করেই গর্ভবতী ও অসুস্থ মানুষদের বক্সার দুর্গম গ্রাম থেকে নিচে নামিয়ে আনছেন বক্সা পাহাড়ের স্থানীয় যুবকরা।
দিন কুড়ি আগেই সূচনা হয় পালকি পরিষেবার
গত আট ডিসেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে বক্সার দুর্গম পাহাড়ের জিরো পয়েন্ট থেকে এই পালকি আ্যম্বুল্যান্সের শুভ সূচনা করেন আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। উদ্বোধনের দিনই জিরো পয়েন্ট থেকে সেই কাঠের তৈরি প্রায় ১৪০ কেজির পালকি আ্যম্বুল্যান্স কোনও মতে চার যুবক বক্সা ফোর্টে তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সেই পালকির স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে বক্সা ফোর্ট।
১৪০ কেজির পালকি
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং কালচিনি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বক্সার মানুষদের জন্য এই পালকি আ্যম্বুল্যান্স চালু করা হয়। যদিও সেটি ভারি কাঠের তৈরি হওয়াতে সেটির ওজন গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৪০ কেজির আশেপাশে। ১৪০ কেজির ওই পালকি আ্যম্বুল্যান্স-এর সঙ্গে গর্ভবতী মহিলার ওজন নূন্যতম ৫০ কেজি ধরা হলেও সেই পালকি আ্যম্বুলেন্সের ওজন ২০০ কেজির মতো হয়। ফলে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ২৬০০ ফুট উচ্চতায় দূর্গম বক্সা পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা ১৩টি গ্রামের মানুষদের জন্য ওই পালকি আ্যম্বুলেন্স ব্যবহার করা কার্যত অসম্ভব।
রোগী সহ অন্তত আটজন যুবক লাগে পালকি চালাতে
সেই কারণেই ওই পালকি আ্যম্বুল্যান্সটি এড়িয়ে চলছেন বক্সা গ্রামের মানুষরা। বক্সা পাহাড়ের সদর বাজারের ইন্দ্র বাহাদুর থাপা কিংবা বক্সাফোর্টের নিমা ডুকপা বলেন পালকির যা ওজন তাতে রোগী ছাড়াই ওই পালকি বহন করতে কমপক্ষে ছয়জন তাগড়া যুবকের প্রয়োজন। আর রোগী সহ অন্তত আটজন যুবককে ওই পালকি বহন করতে হবে। এছাড়াও বক্সার দুর্গম পাহাড়ের ওই রাস্তায় কোথাও একজন পথ চলতে পারে।আবার কোথাও কেবল মাত্র দুইজন একসাথে চলতে পারে।তাই বাধ্যে হয়েই আমরা সেই বাঁশের মাচাতেই গর্ভবতী ও অসুস্থ মানুষদের সমতলে নিয়ে যাচ্ছি।
বিডিও হতাশ
কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন পালকির ওজনের জন্য ওই পালকি আ্যম্বুল্যান্স ব্যবহার যাচ্ছে না।আমরা বিকল্প চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।