দলে টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। যদিও দলের রাজ্য নেতৃত্বের আবেদনে একজন প্রত্যাহার করেছেন প্রার্থী পদ। তবে এখনও চার জন নির্দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে দলে বাড়ছে অস্বস্তি। তাই নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষুব্ধদের ওয়ার্ডে সমান্তরাল নির্বাচনী কমিটি গঠন করল শাসকদল। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা নির্দল প্রার্থী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিল জেলা সভাপতি ।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দলের অভ্যন্তরে প্রার্থী নিয়ে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে শুরু হয় দলের নেতাদের ক্ষোভ। দলে টিকিট না পেয়ে পাঁচটি ওয়ার্ডের থেকে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা করেছিল দলেরই প্রথম সারির নেতারা। এদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মাসুম কাপুর, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল সাহানি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সরকার, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিনা দাস ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মল্লিকা দেবনাথ।
যদিও তাদের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের আবেদনে ১৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী নিখিল সাহানী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে এখন গলার কাঁটা হয়ে রয়েছে বাকি চারজন। দলের নেতৃত্বদের নির্দেশকে কার্যত আমল না দিয়েই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্য তৃণমূলের নেতৃত্ব। সেই মতো শুক্রবার রাতে দলের রাজ্য নেতৃত্বর কাছে ওই চার নেতার বিষয়ে রিপোর্ট পাঠান জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। জানাগেছে এখন এই চার জনের বিরুদ্ধে কোনো নির্দেশ আসেনি রাজ্য নেতৃত্বর তরফে।
অন্যদিকে, যেহেতু ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকাশ সরকার ওই ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হওয়ায় কমিটির একাংশ বিকাশ সরকারের হয়ে প্রচার করছে। যে কারণেই ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও যে তিনটি ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছে সেই তিনটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটিকে ভেঙে সমান্তরাল ওয়ার্ড নির্বাচনি কমিটি গঠন করে প্রচারের কাজে নেমেছে শাসকদল। এই ওয়ার্ড গুলি হল ১, ৩৯ ও ৪৬।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে যে চার প্রার্থী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। পাশাপাশি আর ওই ওয়ার্ডগুলিতে নির্বাচনি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, "দলের নির্দেশই শেষ কথা।দল যাকে প্রার্থী করেছে সেখানে ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে না।