scorecardresearch
 

নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই শিলিগুড়িতে প্রশাসক বোর্ড বাতিলের দাবিতে সরব বামেরা

রাজ্যের সমস্ত পুরনিগমের নির্বাচনের নির্ঘন্ট সামনে আসতেই চাপ বাড়ানোর খেলা শুরু করল বামফ্রন্ট। শিলিগুড়িতে পুর প্রশাসক বোর্ডের নৈতিকতা নিয়ে দ্রুত বোর্ড ভাঙার দাবি জানালেন তাঁরা। অন্যদিকে তৃণমূল তাঁদের দাবি গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • পুরভোটের দামামা বাজতেই চাপের খেলা
  • বামেদের চাপে মুখ খুলেছে তৃণমূলও
  • জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুই দলই

রাজ্যের সমস্ত পুরনিগমের নির্বাচনের নির্ঘন্ট সামনে আসতেই অবিলম্বে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ড বাতিল করার দাবি জানালো বামফ্রন্ট। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য তৈরি বলে জানিয়ে দিল বামেরা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান প্রাক্তন দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক জীবেশ সরকার। অন্য়দিকে ঠিক সময়েই নির্বাচন হচ্ছে বলে দাবি করেন গৌতম দেব। এই সময়ে যা উন্নয়ন করতে পেরেছি সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়েই মানুষের কাছে যাব। জানালেন গৌতম দেব।

কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই। রাজ্যের বাকি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচন গুলির জন্য আদালতে হলফনামা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরই নির্বাচনী প্রস্তুতি একপ্রকার শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। জানা গিয়েছে, বকেয়া ১১০টি পুরসভায় দু'দফায় ভোট হবে। ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় হাওড়া, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগরে ভোট হবে। বাকি সবকটি পুরসভায় ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। 

এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, "ঠিক সময়েই নির্বাচন হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যে দ্রুত প্রতিটি পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ড আসুক। বিজেপি ক্ষয়িষ্ণু হলেও বামেদের ভোট বেড়েছে। আমরা সেদিকে নজর রাখছি। আমরা পুরোপুরি তৈরি। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন, পাশাপাশি এই কয়মাসে আমরা যে উন্নয়ন করতে পেরেছি সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়েই মানুষের কাছে যাবো।" 

অন্যদিকে, জীবেশ সরকার বলেন, "আমরাও পুরোপুরি প্রস্তুত। তৃণমূল আমাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। ৪৭ টি ওয়ার্ডেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এই অবৈধ বোর্ড শিলিগুড়িকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই বোর্ড অবিলম্বে বাতিল করা উচিৎ।" 

রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও শিলিগুড়ি পুরনিগমের ক্ষমতা ভোগ করা হয়নি। ২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে পুরনিগমে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। অল্প কিছুদিন মেয়র পারিষদে থাকলেও মেয়র পদ নিয়ে বচসায় পরে বোর্ড ছেড়ে বেরিয়ে আসে। পরে বামেদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস পুরো পাঁচ বছর বোর্ড চালায়। তাই বিদায়ী বাম পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হতেই কয়েক মাস পরাজিত বিধায়ক ও মন্ত্রী গৌতম দেবকে প্রশাসক পদে বসিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের দখল করতে চাইছিল শাসকদল তৃণমূল।

Advertisement

অন্যদিকে, আবারও শিলিগুড়ি পৌরনিগমে বাম দুর্গকে অব্যাহত রাখতে নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখে শিলিগুড়ি পৌরনিগম দখলের মরিয়া প্রচেষ্টা করছে বামেরাও। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে জেলার প্রতিটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে থাকায় একটা অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে গেরুয়া শিবিরেরও। সব মিলিয়ে এবারে শিলিগুড়ি পৌরনিগম নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

 

Advertisement