পুজোর ডালা থাকলেই অনুমতি কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে

কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুজোর ডালি হাতে থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করলো মন্দির কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মদনমোহন মন্দির এর একাধিক কর্মী সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর থেকেই কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ঘোষণা করে দেওয়া হল।

Advertisement
পুজোর ডালা থাকলেই অনুমতি কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতেমদনমোহন মন্দির
হাইলাইটস
  • পুজার ডালি থাকলেই মন্দিরে প্রবেশ
  • কবে থেকে সাধারণ দর্শন, পরে জানানো হবে
  • তবে একেবারে বন্ধ হচ্ছে না

করোনার কড়াকড়ি মদনমোহনেও

কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুজোর ডালি হাতে থাকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করলো মন্দির কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মদনমোহন মন্দির এর একাধিক কর্মী সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর থেকেই কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ঘোষণা করে দেওয়া হল।

শুধুই দর্শনে আপাতত না

অর্থাৎ শুধুমাত্র বাইরে থেকে এসে দর্শন করা আপাতত আর যাবে না। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এবং নতুন করে নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র পুজোর ডালি হাতে করে নিয়ে এলে, তবেই প্রবেশের অনুমতি মিলবে, শুধুমাত্র পুজো দেওয়া হবে এই অনুমতি সাপেক্ষে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা অনৈতিক বলে মনে করছে না কেউই।

মহকুমাশাসক তথা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য

কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুল রহমান জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কতদিন রাখা হবে তা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

হালকা কড়াকড়িতে কাজ হয়নি

এর আগে এক সঙ্গে ১৫ জন করে ভক্তকে মদনমোহন বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অনেক সময় ভক্তদের সঙ্গে একাধিক লোকজন এসে মন্দির চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল। যদিও থার্মাল স্ক্রিনিং অন্যান্য কোনও বিধি মেনেই তাদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবু কারও শরীরে ভাইরাস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষার মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। সে কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।

মদনমোহন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা

কোচবিহারের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন কোচ রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেব। রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ তৈরি করিয়েছিলেন এই মন্দির। ট্রাস্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে ১৮৯০ সালে বৈরাগী দিঘির পাড়ে মদনমোহন মন্দির তৈরি হয়। ওই বছরের ২১ মার্চ রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন বিগ্রহ মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

করোনার প্রথম ওয়েভে বন্ধ ছিল মন্দির

করোনার প্রথম ওয়েভের জেরে লকডাউনের দীর্ঘদিন পর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও পরবর্তীতে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে তাতে শর্তসাপেক্ষে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement