scorecardresearch
 

ভ্যাকসিন খুঁজতে সকাল হলেই গ্রামে গিয়ে লাইন দিচ্ছেন কার্শিয়াংয়ের বাসিন্দারা

ভ্যাকসিন কোথায় কেউ জানে না। কোথায় গেলে ভ্যাকসিন মিলবে, সে খোঁজও ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই পাহাড়ে ইন্টারনেট কানেকশন অনেকটাই দুর্বল। সব সময় সঠিক তথ্য মেলে না। তাই সকাল হলেই কার্শিয়াং এর বাসিন্দাদের এখন প্রাথমিক কাজ, কোথায় মিলছে ভ্যাকসিন, সেই গ্রামে গ্রামে ঢুঁ মারা।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনে কার্শিয়ংয়ের জায়গায় দেখাচ্ছে দার্জিলিং
  • টিকেকেন্দ্র গিয়ে টিকা মিলছে না
  • সকাল হলেই গ্রামে গিয়ে লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা

কোথায় ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন কোথায় কেউ জানে না। কোথায় গেলে ভ্যাকসিন মিলবে, সে খোঁজও ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই পাহাড়ে ইন্টারনেট কানেকশন অনেকটাই দুর্বল। সব সময় সঠিক তথ্য মেলে না। তাই সকাল হলেই কার্শিয়াং এর বাসিন্দাদের এখন প্রাথমিক কাজ, কোথায় মিলছে ভ্যাকসিন, সেই গ্রামে গ্রামে ঢুঁ মারা।

গ্রামে গিয়ে ভোর থেকে লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা

বিশেষ করে শিলিগুড়ি লাগোয়া কার্শিয়াং এর যে সমস্ত প্রত্যন্ত গ্রামগুলি রয়েছে, সেগুলি কার্শিয়াং সদর থেকে দূরে হলেও, শিলিগুড়ির কাছাকাছি হওয়ায় অনেক সময় ভ্যাকসিন মিলছে। ফলে গাড়ি বাইক নিয়ে সে সমস্ত এলাকায় ঘাঁটি গাড়ছেন বাসিন্দারা। ভোর পাঁচটা থেকে শুরু করে লাইন বাড়ছে, যত বেলা বাড়ছে তত। তবে কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর যখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা জানাচ্ছেন আজকের মত টিকা শেষ, আর নেই। হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন তাঁরা। মূলত কার্শিয়াং এই চিত্রটি ব্যাপক হলেও মোটামুটি পাহাড়ের সব এলাকারই কমবেশি ছবি এটাই

তবু টিকা মিলছে না

কার্শিয়াং শহরে মাত্র একটি টিকাকরণ কেন্দ্র রয়েছে। অন্য সেন্টারটি সুকনাতে। যেটি শিলিগুড়ি থেকে কাছে। ফলে অনেকে শিলিগুড়িতে ভিড় এড়াতে সেখানে গিয়ে টিকা নিতে যাচ্ছেন। যেহেতু কোনও বাধা নেই, তাই তাঁরা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। তবে টিকা পাচ্ছেন কী? না সে গুড়েও বালি। 

অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলেই দার্জিলিং হয়ে যাচ্ছে

আবার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করলে আরেক নতুন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। জেলা দার্জিলিং হওয়ায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলেই নিকটবর্তী টিকাকরণ কেন্দ্র দেখাচ্ছে দার্জিলিং। আবার সেখানে স্লট নেই বলে দেখাচ্ছে। আবার কার্শিয়াং টিকাকরণ কেন্দ্রে গেলে বলছে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া তাদের টিকা দেওয়া যাবে না। কোন দিকে যাবেন, বুঝতে পারছেন না।

বিপাকে কার্শিয়ংয়ের বাসিন্দারা

Advertisement

কার্শিয়াং শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে ডান্সটন এলাকা থেকে তিন দিন লাগাতার টিকা নিতে আসছেন এক ব্যাক্তি। তিনি জানান, "আমাকে বারবার বলা হচ্ছে, আগে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তারপর আসুন।" আবার অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে দার্জিলিং দেখাচ্ছে। ফলে কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না তিনি। দার্জিলিং এ যেতে হলে পরিবারের চার জনের ভাড়া লাগবে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। ফলে টিকা পাওয়ার কোন উপায় দেখছেন না তিনি।

দ্বিতীয় টিকাও মিলছে না

অন্যদিকে দ্বিতীয় দ্বিতীয় টিকার তারিখ পার হয়ে গেলেও ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে আসা শিবটার এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি নিজেই। কার্শিয়াং হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট কৃষ্ণা ঘোষ জানিয়েছেন প্রতিদিনই যতটা টিকা থাকে তার চেয়ে বেশি সংখ্যায় লোক চলে আসছে। ফলে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে যারা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে আসছেন, তাঁদেরই টিকা দিতে হচ্ছে। তবে টিকা পাচ্ছেন না বলে এমন কোন অভিযোগ তাঁরা পাননি বলে দাবি তাঁর।

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা

সুকনার টিকাকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বিনয় সেঞ্চুরি জানান, কোথা থেকে এসে লোকজন ভোর পাঁচটায় লাইন দিচ্ছে, আমরা জানি না। আমাদের সেন্টার সাড়ে ১০ টায় খোলা হয়, আর সরকারি বিধি মেনেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। তার বাইরে কেউ টিকা চাইলে দেওয়া সম্ভব নয়। তার মধ্যে এসডিও, পুরসভা, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে পাঠানো টিকার তালিকা থেকে আগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরই দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে রেজিস্টার করে যাঁরা এসেছেন তাঁদের। এখানে কোন স্পট বুকিং এর ব্যবস্থা নেই। 

 

Advertisement