করোনাতে বেড়েছে স্কুল ফি, বিক্ষোভে পথে নামল অভিভাবকরা

করোনার জেরে বন্ধ স্কুল। তবুও নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ, জলের জন্য টাকা। স্কুল ফি কমানোর দাবিতে সোমবার পথ অবরোধ করলেন অভিভাবকেরা। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়ি পুরনিগমের অন্তর্গত হায়দারপাড়া ইসকন মন্দির রোড এলাকায়।

Advertisement
করোনাতে বেড়েছে স্কুল ফি, বিক্ষোভস্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ
হাইলাইটস
  • হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না স্কুল
  • স্কুলের ফি উল্টে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
  • স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

হাইকোর্ট, রাজ্যের নির্দেশ মানছেন না

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ফি বেশি নেওয়া যাবে না। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ফি না দিলেও স্কুলে ক্লাস করতে দিতে হবে। অন্তত জুলাই পর্যন্ত কাউকে ফি দিতে জোর করা যাবে না। এদিকে শিলিগুড়িতে একটি স্কুলে উল্টো ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন।

বিভিন্ন খাতে টাকা নেওয়া হচ্ছে

করোনার জেরে বন্ধ স্কুল। তবুও নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ, জলের জন্য টাকা। স্কুল ফি কমানোর দাবিতে সোমবার পথ অবরোধ করলেন অভিভাবকেরা। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়ি পুরনিগমের অন্তর্গত ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দরপাড়া ইসকন মন্দির রোড এলাকায়।

উল্টে ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

অভিযোগ, সেখানে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়াদের অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। যেখানে গত বছর করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় ১৫ শতাংশ বিল কমানো হয়েছিল। সেখানে এবার আর কমানো হয়নি। বরং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের ফি।

আলোচনাতেও বরফ গলেনি

অভিযোগ, সেই ফি দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের তাগাদা দিচ্ছে স্কুল। অভিভাবকেরা বলছে, ফি'য়ের রসিদে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, জলের টাকা। অথচ করোনায় যখন স্কুল বন্ধ, তখন কেন বিদ্যুৎ ও জলের টাকা দেবেন? সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সোমবার স্কুলে হাজির হন অভিভাবকেরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেন। কিন্তু তারপরও ফি কমানো হবে না বলে জানায় স্কুল।

অবরোধের পথে অভিভাবকরা

এরপরই পথ অবরোধ শুরু করেন অভিভাবকেরা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা জুড়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন সকলে। অবিলম্বে পড়ুয়াদের ফি কমাতে হবে বলে দাবি করেন তাঁরা। এরই মধ্যে পথ অবরোধে আটকে পড়া মানুষের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসাও বাধে। খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ যায়। অবরোধ উঠিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়।

ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা

পাপ্পু ছেত্রী নামে এক অভিভাবক বলেন, আমাদের দাবি ছিল পড়ুয়াদের ফি কমানো হোক। করোনার জেরে সকলেই সমস্যায়। কাজ নেই, বেতন নেই। কীভাবে আমরা এতো ফি দেব। আর স্কুল বন্ধ। অথচ বলা হয়েছে বিদ্যুৎ, জলের টাকা দিতে হবে। বিভিন্ন ক্লাসে  ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফি। কিছু কিছু খাতে অন্যান্য বছরের তুলনায় টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন সদুত্তর দেননি। সময়মতো টাকা জমা না দিলে সেক্ষেত্রে জরিমানা বাবদ আরও বেশি টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোনো কথা বলতে চায়নি।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement