শিলিগুড়ির সাহুডাঙ্গি এলাকায় নদী থেকে উদ্ধার দুই মেয়ে সহ মায়ের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও তাদের মৃত্যুর পিছনে ট্রেনের ধাক্কা নাকি ওই তিনজন ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাচঁতে সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ ও জিআরপি। ময়নাতদন্তের পরই তা নিয়ে স্পষ্ট জানা যাবে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনজেপি জিআরপি এবং শিলিগুড়ি পুলিশের আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ।
প্লাস্টিক-বোতল কুড়োতেন তাঁরা
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই মহিলা স্থানীয় এলাকায় প্লাস্টিক, কাগজ কুড়োনোর কাজ করতেন। তাঁকে এলাকায় প্রায়ই দেখা যেত। সঙ্গে থাকা দুটি মেয়ে তাঁর মেয়ে বলেই তাঁদের ধারণা। তবে সেটিও সুনিশ্চিত নয়। এদিকে তাঁদের দেখে থাকলেও তাঁদের নামও কেউ জানেন না।
ট্রেন আসতেই সেতু থেকে লাফ
এদিনও দুপুরে তাঁদের এলাকায় ঘুরে কাগজ-প্লাস্টিক বোতল কুড়িয়ে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে। বিকেলে সঙ্গে থাকা দুটি মেয়েকে নিয়ে মাথায় বস্তা নিয়ে ওই রেল সেতু দিয়ে পার হতে গেলে, পিছন থেকে ট্রেনের একটি ইঞ্জিন চলে আসে। ইঞ্জিনের ধাক্কা লাগেনি বলেই স্থানীয়রা মনে করছে। সম্ভবত ওপর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে সেতু থেকে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। নীচে পড়ে শরীর থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রেল বিষয়টি নিয়ে চুপ, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে
তবে ওই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ বর্মন বলেন, "ট্রেন আসতে দেখে আতঙ্কে লাইন থেকে ঝাঁপ দেন তাঁরা। তিনজনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে।"