scorecardresearch
 

মুখ থুবড়ে পড়লো বিখ্যাত শিলিগুড়ি মডেল, একই আসনে প্রার্থী দিল বাম-কংগ্রেস

আসন সমঝোতা হলো না। একাধিক আসনে বামেদের পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও। ফলে বহুচর্চিত শিলিগুড়ি মডেল, যা মিথ-এ পরিণত হয়েছিল। তা বোধহয় আঁতুরঘরেই মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে।

এই ছবি কী এখন অতীত ! এই ছবি কী এখন অতীত !
হাইলাইটস
  • শিলিগুড়ি মডেল এখন বিশবাঁও জলে
  • বাম-কংগ্রেস জোট হয়তো থাকছে না
  • একই আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাম-কংগ্রেসদের

বামদের ঘোষিত অনেক ওয়ার্ডেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। ফলে 'শিলিগুড়ি মডেল' যা শেষ কয়েকটি নির্বাচন থেকে বিখ্যাত হয়েছিল, তা এবার খোদ জন্মস্থানেই মুখ থুবড়ে পড়ার ইঙ্গিত।

জোট জোটে আটকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনের বাম কংগ্রেস জোট। কংগ্রেস প্রথম পর্যায়ের ১৫ টি আসনে প্রার্থী প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে ৭ টি ওয়ার্ডে বাম ও কংগ্রেস উভয় দলই প্রার্থী দিয়েছে। তবে কংগ্রেসের দাবি সময় হাতে রয়েছে আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতা হবে। অন্যদিকে বামেদের দাবি জোট নিয়ে দু'বার আলোচনা হলেও কোনও সমাধান মেলেনি। এই মুহূর্তে জোট টিকিয়ে রাখতে উভয় দলের আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থী প্রত্যাহার ছাড়া কোনও পথ নেই। ফলে এখন শিলিগুড়ির বহু চর্চিত বাম কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত অথৈই জলে।

রাজ্যে তৃণমূলের জমানায় কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে শিলিগুড়িতে নিজেদের দুর্গ অটুট রেখেছিল বামেরা। রাজ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরনিগম ছিল বামেদের দখলের। একইভাবে এবারের পুরনিগম নির্বাচনে পুরনিগম দখলে জোট করে লড়াতে দু'বার জোট তথা আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় শেষমেশ এখন জোটের জটে আটকে থাকলো বাম কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত। বৃহস্পতিবার জোট উপেক্ষা করেই ১৫ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। যার মধ্যে ৭ টি ওয়ার্ডে বাম কংগ্রেস উভয়েই প্রার্থী দিয়েছে। ফলে এতেই ভেস্তে গেল আসন সমঝোতা। 

বামেরা ইতিমধ্যেই ৪২ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি আর ১২ টি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তবে এদিন কংগ্রেস ১৫ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ৭ টি ওয়ার্ডে রয়েছে উভয় দলের প্রার্থী। জানা গিয়েছে এই প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে গতবারের জেতা ৪ টি ওয়ার্ড এবং বাকি যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলোতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস সেখানেই প্রার্থী দিয়েছে। যদিও বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণা নির্ভর করছে আলোচনা ফলপ্রসূ উপর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে জোট নিয়ে দুইপক্ষের স্নায়ুর লড়াই চলছে। তবে জোটের ভবিষ্যত যে খুবই ক্ষীণ তা স্পষ্ট বামেদের কোথায়।

এদিন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, আসন সমঝোতার পথ এখনও ভেস্তে যায়নি। আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত আমরা সময়সীমা রেখেছি। তারপর এই সমস্ত বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে এই নয় জোট ভেস্তে গেল। দলের অস্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে জোট হবে না। আলোচনার পথ খোলা থাকবে। 

অন্যদিকে সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, জোট নিয়ে পরপর দুবার আলোচনা হয়েছে কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে ৬ তারিখ পর্যন্ত সময় রেয়েছে আলোচনা হবে।