ফের ভ্যাকসিন নিয়ে অভিযুক্ত রাজ্য
দেবাঞ্জনের ভুয়া ভ্যাকসিন নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে রাজ্য। জামা থেকে কাদার দাগ সরাতে না পেরে পাল্টা কাদা ছেটানোর পথ নিয়েছে তৃণমূল। তার মাঝেই ফের টিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যদিও কোথাও কোনও জায়গায় টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
৩১৫ টাকায় ভ্যাকসিন বিক্রি করছে রাজ্য !
তাঁর অভিযোগ, ৩১৫ টাকায় ভ্যাকসিন বিক্রি করছে রাজ্য সরকার। সরাসরি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে দায়ী করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, সমস্ত রাজ্যে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় রাজ্য সরকার ভ্যাকসিনগুলি বিক্রি করছে। রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন অনুসারে, সমস্ত কর্পোরেশন, প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও সংস্থা তাদের কর্মীদের জন্য টিকা ক্যাম্পের আয়োজন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সংস্থাগুলিকে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে
একই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী করপোরেশন, প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও সংস্থাগুলিকে দশ হাজার টাকা অনুদানের জন্য বাধ্য করছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জরুরি ত্রাণ তহবিলে প্রতি ভ্যাকসিনের জন্য ৩১৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এটা অলিখিত নিয়মের মতো করে দেওয়া হয়েছে। এই টাকা না দিলে রাজ্য সরকার টিকা ছাড়ছে না।
বিধায়কের প্রশ্ন
তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের তরফে এভাবে টাকা তোলা যায় কি না? পাশাপাশি তিনি চিঠিতে জানতে চান ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও কি এ জাতীয় রীতি প্রচলিত আছে কি না। তিনি বলেছেন, হয়তো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আসেনি, তাই তা তুলে ধরতে চাই।
সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখতে হবে
অতিমারী অবস্থায়, নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগকে এগিয়ে আসা এবং সমর্থন করা কি রাজ্য সরকারের নৈতিক দায়িত্ব নয়? প্রশ্ন শঙ্করবাবুর। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের কারণে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা যাতে কোনও রকম অবিচারের শিকার না হন সেজন্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
এই ঘটনা শুনে শিলিগুড়ির পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিজেপি বিভ্রান্তি তৈরি করতে এই অভিযোগ করছে। রাজ্যে কোথাও টিকা নেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে না।"