scorecardresearch
 

রুজির খোঁজে অসম থেকে গামছা হাতে আলিপুরদুয়ারে বিক্রেতারা

লকডাউনে রুজি নেই। তাই নিজের রাজ্য ছেড়ে সীমানা পেরিয়ে পাশের রাজ্য পশ্চিমবাংলার আলিপুরদুয়ারে এসে রুজি খুঁজে নিচ্ছেন অসমের কয়েক জন গামছা বিক্রেতা। পুঁজি সামান্যই, আড়ম্বরও কম। তবে হাতের কাছে বিখ্যাত অসমিয়া গামছা পেয়ে দেদার কিনছেন এলাকাবাসীও। একচিলতে হাসি ফুটেছে গামছাওয়ালাদের ঠোঁটে।

Advertisement
অসম থেকে গামছা নিয়ে অসম থেকে গামছা নিয়ে
হাইলাইটস
  • অসমে আংশিক লকডাউনেই বিপত্তি
  • প্রতিদিন অসম থেকে গাড়ি ধরে আলিপুরদুয়ারে
  • গামছার দাম সাধ্যে মধ্যেই

লকডাউনে রুজি নেই। তাই নিজের রাজ্য ছেড়ে সীমানা পেরিয়ে পাশের রাজ্য পশ্চিমবাংলার আলিপুরদুয়ারে এসে রুজি খুঁজে নিচ্ছেন অসমের কয়েক জন গামছা বিক্রেতা। পুঁজি সামান্যই, আড়ম্বরও কম। তবে হাতের কাছে বিখ্যাত অসমিয়া গামছা পেয়ে দেদার কিনছেন এলাকাবাসীও। একচিলতে হাসি ফুটেছে গামছাওয়ালাদের ঠোঁটে।

পেটের তাগিদে আলিপুরদুয়ারের রাস্তায়

জঠর জ্বালা। পেটের তাগিদ। আর সেই তাগিদেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবাংলার প্রান্তীয় জেলা শহর আলিপুরদুয়ারের ফুটপাতে বিখ্যাত অসমিয়া গামছা বিক্রি করছেন চার বয়স্ক বোড়ো মহিলা।শহরের চড়া রোদ্দুরে সকলের চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। করোনার লকডাউনের আতঙ্ক ঝরে পড়ছে প্রতি ঘামের বিন্দুতে, বিন্দুতে।

ক্লান্তি উপেক্ষা করেই চলছে দেদার বিক্রি

শহরবাসী হাতের নাগালে পেয়েছে সস্তা অথচ ভাল মানের সুতির অসমীয়া গামছা। আর তাতেই, ওই চার মহিলার ক্লান্তির মাঝেই মুখে উঁকি দিচ্ছে এক চিলতে তৃপ্তির হাসি। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অসম, বাংলা, পাশাপাশি দুই রাজ্যেই চলছে আংশিক লকডাউন। যদিও বাংলার আংশিক লকডাউনের তুলনায় অসমের আংশিক লকডাউনের নিয়ম বেশ কড়াকড়ি। বাংলার লকডাউনের সময় সীমায় ফুটপাতে ব্যবসায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।

অসমে আংশিক লকডাউনেই বিপত্তি

তবে অসমের আংশিক লকডাউনে নিষিদ্ধ রয়েছে ফুটপাতের ধারে কেনাবেচা। আর তাতেই চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন অসমের কয়েক হাজার ফুটপাত ব্যাবসায়ী। রুটিরুজিতে টান পড়েছে হতদরিদ্র পরিবারের এই মানুষ গুলো।

কোথা থেকে এলেন তাঁরা

অগত্যা পেটের টানে নিম্ন অসমের জারাগুড়ি, বাজুগাঁও, শিমূলটাপু, সারফাংগুড়ি থেকে রাজ্য সীমানা পার করে এই চার মহিলা প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে এসে পৌঁছে গেছেন আলিপুরদুয়ার শহরে।

গামছা পেয়ে খুশি এলাকাবাসীও

আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা রোডের বাসিন্দা পীযূষ চক্রবর্তী জানান, অসমের লকডাউনের জেরে এই মহিলারা আলিপুরদুয়ার এসেছেন গামছা বিক্রি করতে। খুব উন্নত মানের গামছা। পিওর সুতির গামছা। এই রাজ্যে অসমের গামছার বেশ চাহিদা। ১৫০ টাকায় রং, বেরং এর দুটো গামছা পাওয়া যাচ্ছে। এই বোড়ো উপজাতির মহিলারা নিজেদের হাতেই এই গামছা তৈরি করে।

Advertisement

বিক্রেতাদের সন্তুষ্টি

গামছা বিক্রি করতে আসা লোয়াসমিন নার্জারি বলেন, বাংলার মানুষ আমাদের খুব আদর করে। আমাদের অসমে লকডাউন চলছে। তাই পেটের তাগিদে এখানে চলে এসেছি। সন্ধ্যায় এখান থেকে গাড়ি ধরে চলে যাবো।কাল সকাল বেলাতেই আবার এখানে চলে আসব। আরেক মহিলা চান্দ্র মোসাহারি বলেন লকডাউনে পরিবারের বাচ্চা, বুড়োদের মুখে অন্ন তুলে দিতে আমরা আসাম থেকে এই বাংলায় এসেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে।এতে বাড়ির সকলের পেটে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারব। 
 

 

Advertisement