দুবছর ধরে লাইসেন্স নেই, দিব্যি চলছিল রেস্তোঁবার, বন্ধ করল পুলিশ

উত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে বার চালানোর অভিযোগ ! খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল যে মদ বিক্রি হচ্ছে অবৈধ। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে বারে মদ বিক্রির চলছে রমরমিয়ে। হানা দিয়ে বার বন্ধ করল শিলিগুড়ি পুলিশ।

Advertisement
দুবছর ধরে লাইসেন্স নেই, দিব্যি চলছিল রেস্তোঁবার, বন্ধ করল পুলিশমেয়াদ উত্তীর্ণ মদের বোতল
হাইলাইটস
  • ২০১৯ থেকে লাইসেন্স নেই, চলছে বার
  • খবর পেয়ে অভিযান পুলিশের, গ্রেফতার ১
  • আসল মালিকের খোঁজ শুরু, নজর রাখছে পুলিশ

আমোদ-প্রমোদে ছেদ

সরকারি নির্দেশে খুলেছে বার ও রেস্তোরাঁ। ভিড়ও জমছে ভালই। দীর্ঘদিন পানভোজনের সুযোগ না পেয়ে যাঁরা হাঁকুপাকু করছিলেন, তাঁরা হামলে পড়েছেন রেস্তোঁবারেও। কিন্তু আমোদের আসরে যে এভাবে ছেদ পড়বে তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।

অবৈধভাবে মদ বিক্রি বারে

কিন্তু এবার সেখানেই দেখা দিল বিপত্তি। মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে বার চালানোর অভিযোগ ! খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল যে মদ বিক্রি হচ্ছে অবৈধ। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে বারে মদ বিক্রির চলছে রমরমিয়ে।

পুলিশের জালে মদ বিক্রেতারা

সেবক রোডের একাধিক বার ও পাব সমৃদ্ধ শপিং মল প্ল্যানেট মলে একটি রেস্তোরাঁ ও বারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বিদেশি মদসহ এক হোটেল কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। 

মালিককে খুঁজছে পুলিশ

জানা গিয়েছে রেস্তোরাঁর মালিকের নাম সুশান্ত তিওয়ারি। খোঁজ পাওয়া যায়নি মালিকের ও ম্যানেজারের। মালিক ও ম্যানেজার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

মদ বাজেয়াপ্ত, কাগজ নেই

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ওই মলের একটি রেস্তোরাঁ ও বারে হানা দেয় পুলিশ। এরপর রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের কাছে পুলিশ মদ বিক্রির লাইসেন্স দেখাতে চাইলে তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেই কারণেই রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় কয়েক হাজার টাকার মদ।

২০১৯ থেকেই লাইসেন্স নেই

জানা গিয়েছে, গত ২০১৯ সালে ওই রেস্তোরাঁর  মদের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। তবে এরপরেও সরকারকে কোন ফাইন দেওয়া হয়নি এবং সেই লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

তালিকায় আরও অনেক

পুলিশ জানতে পেরেছে শিলিগুড়ি শহরে ঝাঁ চকচকে মলের মধ্যে এরকম আরও অনেক বার ও রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েও চলছে। লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করলেও আইনি পদ্ধতি মেনে ব্যবসা করতে নারাজ। কারও কারও যুক্তি, করোনা পরিস্থিতিতে লাইসেন্স নবীকরণ করা যায়নি। তবে এই যুক্তি আইন মানবে না। পুলিশ ও পুরসভার দাবি, না করা হয়ে থাকলে ততদিন বার বন্ধ রাখতে হবে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement