scorecardresearch
 

জটিলতা এড়িয়ে সহজেই দার্জিলিং-কালিম্পং প্রবেশে উদ্যোগ দুই জেলার

পর্যটকদের ভ্রমণ ও স্বাগত জানানো নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে জটিলতা কাটালো দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। টিকার দুটি ডোজ অথবা আরটিপিসিআর রিপোর্ট কিংবা র্যাপিড অ্যান্ডিজেন টেস্ট রিপোর্টের যে কোনও একটা থাকলেই মিলবে প্রবেশের অনুমতি।

Advertisement
বৈঠক বৈঠক
হাইলাইটস
  • টিকা বাধ্যতামূলক নয়, দুই জেলায়
  • বিকল্প রিপোর্টেও মিলবে অনুমতি
  • স্বস্তি পর্যটন মহলে

ভ্রমণ সহজ করল দার্জিলিং

পাহাড়ে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে এখন দুটি ডোজ টিকা(VACCINATION)-র শংসাপত্র অথবা RT-PCR রিপোর্ট আবশ্যক ছিল। তবে এখন থেকে এগুলো ছাড়াও  র্যাপিড  (RAT) অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট থাকলেও ভ্রমণের অনুমতি মিলবে পর্যটকদের।

টিকাকরণ নিয়ে জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ 

একই সঙ্গে শিলিগুড়িতে করোণার টিকাকরণ নিয়ে গন্ডগোল এড়াতে এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকাকরণের উদ্যোগ জেলা নিল স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে এখন থেকে বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনেও বিশেষ নাকার ব্যবস্থা করতে চলছে স্বাস্থ্য দফতর।

দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে জটিলতা কাটছে

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব এখন কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশবাসী। তার ওপর বিশেষজ্ঞদের মতে চলতি বছরে শেষ দিকে আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর তাই আগে ভাগে সতর্ক জেলা প্রশাসন। সোমবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে দার্জিলিং ও কালিম্পঙ জেলার জেলাশাসক দের নিয়ে বৈঠক করেন করোনা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডঃ সুশান্ত রায়। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

পর্যটনে সদর্থক দুই জেলা

প্রসঙ্গত, এই দিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল পর্যটকরা। এই বিষয়টি নিয়ে এদিন বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় জেলাশাসকদের সাথে। এদিন বৈঠক শেষে ডাঃ সুশান্ত রায় জানান, এখন থেকে পাহাড়ে আসা পর্যটকরা দুটি ডোজের টিকার শংসাপত্র অথবা RT-PCR বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালেই ভ্রমণের অনুমতি পাবে। তবে জেলায় বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ও ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। এছাড়াও রেলস্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডে শীঘ্রই নাকা চেকিং পয়েন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

Advertisement

স্বাগত পর্যটন সার্কিটের

এই বিষয় নিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, এতদিন পর্যন্ত সরকার নির্দেশিকার ক্ষেত্রে পর্যটন ব্যবসায়ীরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে RAT রিপোর্টকে সরকার মান্যতা দেওয়ায় এতে পর্যটন শিল্প কিছুটা মুখ তুলে দাঁড়াবে। সরকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্প চলবে। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন পরবর্তীতে এই প্রক্রিয়াকে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ওয়ার্ডে টিকা

অন্যদিকে শিলিগুড়িতে টিকাকরণ নিয়ে প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলার ঘটনা উঠে আসছে। টিকাকরণের জন্য হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই সমস্ত বিশৃঙ্খলা ও গন্ডগোলের ওপর হ্রাস টানতে শিলিগুড়িতে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করল স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিন ডা: সুশান্ত রায় বলেন, টিকাকরণ ওয়ার্ড ভিত্তিক করা গেলে সাধারণ মানুষের হয়রানি যেমন কমবে সেরকমই ভিড়ও এড়ানো যাবে। একদিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ টি ওয়ার্ড বাছাই করে সেই ওয়ার্ডের মোট ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যার মধ্যে ৪০০ থাকবে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বাকি ১০০টি টিকা দেওয়া হবে ১২ বছরের মধ্যে শিশুদের মায়েদের। এই বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমকে জানানো হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নোডাল অফিসার থাকবে। যাঁরা এই পদ্ধতির ওপর নজরদারি চালাবে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে তালিকা তৈরি করে ওই তালিকা অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।

 

Advertisement