রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সংকটজনক। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। শান্তি প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো। কোচবিহারে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
কোচবিহার সফরে রাজ্য়পাল
এ দিন তিনি কয়েক ঘন্টার সফরে কোচবিহারে যান। বিএসএফ এর হেলিকপ্টারে কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথে শীতলকুচি, দিনহাটা যান। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা জানান।
শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে সহযোগিতার আশ্বাস
এখন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব। গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো জায়গায় আইনকে যাঁরা নিজের হাতে নিয়েছে, সেই প্রত্যেকটি মানুষকে শাস্তি দেওয়া দিতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে রকম কোন ভূমিকা রাজ্যের তরফে দেখা যাচ্ছে না।
রাজভবনে বসে থাকতে পারবো না
রাজ্যের মানুষ যখন কষ্টে আছে, বিপদে আছে, তখন রাজভবনে বসে থাকতে আমি পারবো না।
আমি কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় যাব। মানুষের সঙ্গে দেখা করব। শুক্রবার অসম যাব। যাঁরা অত্যাচারের ভয়ে অসমে পালিয়ে গিয়েছে, তাঁদের বলব, তাঁরা ফিরে আসুন। আমি পশ্চিমবঙ্গে থেকে পশ্চিমবঙ্গ কে কলঙ্কিত হতে দেখতে পারবো না। আমার তাদের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে তারা আমার কথা শুনবেন এবং রাজ্যে ফিরবেন বলে আমার বিশ্বাস। মানুষ আমি যাওয়াতে কিছুটা আশ্বস্ত বোধ করছেন।
রাজ্যের পরিস্থিতি সংকটজনক
রাজ্যের পরিস্থিতি চিন্তাজনক। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কথা তুলে ধরার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায়? কোচবিহারে নেমে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন এদিন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি প্রশাসনিক আধিকারিকদের মনোবল ভেঙে দেবেন না বলে আবেদন জানান। রাজ্যপাল বলেন, আধিকারিকদের নিজেদের মতো কাজ করতে দেওয়া উচিত। রাজ্যে ঠান্ডা মাথায় একের পর এক খুন করা হচ্ছে।
আমি সংবিধানের রক্ষক, আমাকে আটকানো যাবে না
আমি সংবিধান রক্ষা করতে এসেছি। কোনও বাধা আমাকে আটকাতে পারবে না। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমার কর্তব্যে আমি অবিচলিত থাকবো। দেশের সামনে এখন একটাই সংকট, করোনা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে করোনার পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হচ্ছে।
রাজ্যপালের সূচি
এদিন রাজ্যপালের শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা। পাশাপাশি দিনহাটাতেও তিনি যাবেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন। এদিন অসম যাবেন বলেও জানান। তবে কোচবিহার থেকে এদিনই তাঁর কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা।