বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন ঘাটালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান তিনি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন, পাশাপাশি ত্রাণও বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (সমস্ত ছবি- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে)
এদিন মমতা বলেন, প্রশাসনকে আরও কাজ করতে হবে, আরও ক্যাম্প করতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প, কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না।
মমতা বলেন, সুন্দরবন ও দিঘা সমুদ্র সৈকত প্রকল্প আমরা দেখছি, কীভাবে বাঁচান যায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা মানস ভুঁইঞা, দেব, জুন মালিয়া, সৌমেন মহাপাত্র, সকলে গিয়ে কেন্দ্রের সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন।
ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
মমতা বলেন, উদয়নারায়ণপুর, আমাত, খানাকুল ভেসে গিয়েছে। আমরা যতটা পারছি চেষ্টা করছি। বন্যাটা বেশ খানিকটা পরিকল্পিত।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৮০০ কোটি টাকা দিয়ে একটি প্রকল্প হচ্ছে। ডিভিসির নিম্ন অববাহিকায় কাজ হচ্ছে। অনেক চেক ড্যাম করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পুকুর কেটেছি, যাতে জল জমা হয়। যা দেখলাম, তা ফিরে গিয়ে প্রশাসনিক স্তরে গিয়ে যা করার করব।
ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলাম। ঘাটালের ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য প্রতি বছর জল যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে হয় এই অঞ্চলের মানুষদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন জরুরি।
মমতা বলেন, সংসদে বারবার সরব হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি। রাজ্য সরকার দুর্গতদের জন্য প্রশাসনিক সহায়তা সুনিশ্চিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে অনুরোধ করব একে অপরের পাশে দাঁড়াতে।
মমতা জানান, আজ জলবন্দি এলাকা পরিদর্শনের পরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত দুর্গতদের সাথে বার্তা বিনিময় করি ও তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।