Digha: পুজোর মুখে আন্দোলন শুরু করেছে SBSTC-র দিঘা ডিপোর বাসচালক ও কন্ড্রাক্টরেরা। আর তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দিঘা যাওয়ার সরকারি বাসগুলিতে। পুজোর মুখে এই সময়ে পর্যটকদের মধ্যে দিঘা যাওয়ার একটা হিড়িক পড়ে যায়। ট্রেনের টিকিট না পেলে সরকারি বাসই ভরসা থাকে পর্যটকদের। বেসরকারি বাস থাকলেও ভাড়াটা অনেক বেশি। কিন্তু এখন কর্মীদের আন্দোলনের জেরে পরিষেবা বন্ধ দিঘা-বারাসত, দিঘা-দুর্গাপুর, দিঘা-খড়গপুরের মতো রুটগুলিতে। আর তার জেরেই বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না।
কেন বন্ধ বাস পরিষেবা
আন্দোলন মূলত করছেন SBSTC-র অস্থায়ী বাসকর্মীরা। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন এসবিএসটিসি বাস ডিপোতে স্থায়ী কর্মী রয়েছেন প্রায় ৩০ জন। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ১২০। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, প্রতিদিন কাজ করলে সেই ভিত্তিতে টাকা পাই। সেই টাকার পরিমাণ খুবই কম। এখন উল্টে কাজের দিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাসে হয়তো খুব বেশি ১০- ১২ দিন হয়তো কাজ পাই। যা টাকা হাতে আসে, ওতে কোনওমতেই আর সংসার চালানো যায় না। অস্থায়ী কর্মী হওয়ায় কোনও সরকারি সুবিধা নেই। তাই সমস্ত সরকারি সুবিধা, ছুটি ও ২৬ দিন কাজের দাবিতে কর্ম বিরতি শুরু হয়েছে।"
বিপাকে পর্যটকেরা
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিঘা যাওয়ার রুটে ২০১৪ সালে অন্তত ৯২টি বাস চলত। ২০১৮ সালে তা কমে হয়েছে ৭২টি। কিন্তু তা থেকে আরও কমে প্রায় ৩০ টি মতো বাস চলে। অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ৩০টি বাসও দৈনিক চলে না। এর থেকেও কম বাস চলে। আর তাতে বিপাকে পড়েছেন এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অস্থায়ী কর্মীরা। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী রোজ কাজ করলে সেই ভিত্তিতে টাকা পান তাঁরা। কিন্তু রোজ কাজই মিলছে না। মাসে ১০-১২দিন কাজ মিলছে। ফলে হাতে টাকা আসছে খুবই কম। এর জেরে প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। এর জেরেই কর্মবিরতি পালন করেছেন। কিন্তু এর জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। পুজোর আগে সৈকতশহরে প্রচুর পর্যটকের ভিড় থাকে। আচমকা দিঘা যাওয়ার বাস পরিষেবা হয়রানির মুখে পড়েছেন পর্যটকরাও।