দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় উপহার পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। মেল ও হার্ড কপি দুইরকম ভাবেই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বর্ণপরিচয় পাঠাবেন বলে জানান তিনি। কন্যাশ্রী বানান নিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছিল ভুলে ভরা বাংলা বানান নিয়ে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
কৌস্তভ বাগচি জানান, বাংলার সাংসদরা দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ধর্ষণের প্রতিবাদ। কর্মসূচিকে অবশ্যই সমর্থন জানাচ্ছি। কারণ ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশেই দিন বাড়ছে। কিন্তু তাঁরা যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেটা ভুলে ভরা বাংলায়। ব্যকরণ সম্পর্কে কারোর যদি সুষ্পষ্ট জ্ঞান থাকত, তাহলে এই জিনিস করত না। বাংলা ভাষা সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা রাখা দরকার। সেটা নিয়েই মনে হল দিলীপবাবুকে বর্ণপরিচয় পাঠানো উচিত। দিলীপ বাবুকে অনুরোধ অন্তত এটা পড়বেন। কারণ এটা আমাদের সম্মানের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের একজন সাংসদ ভুল বাংলায় লেখা একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, কিছু না হলেও দিলীপবাবুর মেল আইডিতে বর্ণপরিচয় মেল করে পাঠান। যাতে এমন হাস্যকর কাণ্ড আর না করেন। আমি মেল করেও পাঠিয়েছি। এর পাশাপাশি হার্ড কপিও পাঠাব। বর্ণপরিচয় পড়লে আগামী দিনে এমন ভুলভাল বানান আশা করি উনি আর লিখবেন না।
বিষয়টি নিজে আজ সাফাইও দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অনুবাদ করতে গেলে এমন হয়ে যায়। দিল্লিতে তো আর বাংলা নেই, ওরা হিন্দি থেকে বাংলা করে। যাই হোক আমরা এটা অনেককে সুযোগ দিয়েছি খবর ছাপানোর জন্য, মন্তব্য করার জন্য। প্রচার উল্টোই হয়। আমি জ্যাকেট পড়ে বন্যায় ত্রাণ বিলি করতে গেলে যা ছবি আসে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে সেটা বেশি আসে। এটাই নিয়ম। যাঁরা মতবাদ দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। ত্রিপুরাতে তৃণমূল কে করে. আর এতো সময় আসে। লোকসভাতে ওঁরা টেবিলে দাঁড়িয়ে কাগজ ছুঁড়ে অসভ্যতা করল। এই অসভ্যতা ও হিংসার রাজনীতি ওরা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে চাইছে।