দিঘা এখন পর্যটকে ভরা। এই গরমেও সমুদ্রের পারে তিল ধারণের জায়গা নেই। দিঘার আকর্ষণের প্রধান বিষয় যদি সমুদ্র হয়, তবে দ্বিতীয়টি সমুদ্র পারের নানা ধরণের মাছের পদ। ভাজা, রান্না করা, ভাপা যেমনই হোক না কেন। কিন্তু এবার ভরা মরশুমেও পর্যটকদের এখন মুখ ভার। কারণ দিঘায় এখন মাছ ধরা বন্ধ। ফলে কী করা? অগত্যা সমুদ্রের ধারে বসে চালানি মাছেই মন ভরাতে হচ্ছে।
বিশেষ করে ইলিশ মাছ না মেলায় মন খারাপ পর্যটকদের। এখন এই এলাকায় ২ মাস সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে দিঘার মোহনায় মৎসজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না মাছ। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জলের রাজা ইলিশ দিঘায় ঘুরতে আসা টুরিস্টদের পাতে উঠছে না। যা মিলছে তা কলকাতা থেকে আমদানি করে আনা ইলিশ। আর সে ইলিশ খেতে এতদূর আসা কেন? এই ভেবেই মুষড়ে পড়েছেন তাঁরা।
তাহলে আর কী! ইলিশের বিকল্প হিসাবে চিংড়ি, পমফ্রেট, কাঁকড়া, ভেটকি খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও তারও স্বাদ কম নয়, কিংবা আকর্ষণ কম নয়, কিন্তু তা বলে কী জলের রাজার স্বাদ মেলে? তা মিলছেও না। আর দাম চড়চড় করে বাড়ছে।
মাছ ব্যবসায়ীদের মতে, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছের দাম বাড়ছে। দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে মাছ আসছে। কলকাতা থেকে চিংড়ি, ভেটকি আমদানি করা হচ্ছে। সবেরই দাম অনেকটা বেশি। দিঘায় সাধারণ নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্য়বিত্ত পর্যটক প্রচুর আসেন। ফলে অনেকেই মাছ এবারের মতো বাদ দিচ্ছেন।