বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্যের অন্যতম স্তম্ভ হল লোক সংস্কৃতি। রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে লোক সংস্কৃতির অমূল্য ভাণ্ডার। আর সেই লোক সংস্কৃতির (Folk Culture) সঙ্গে পরিচিত হতে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যান পর্যটকেরা। এবার তাই সেই লোক সংস্কৃতিকেই পর্যটনের সঙ্গে একাত্ম করে দিতে নেওয়া হল এক অভিনব উদ্যোগ। বড়দিনের (Christmas) সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির (Jhargram Rajbari) মাঠে আয়োজিত হতে চলেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। 'রাজবাড়ির মাঠ, মেঠো সুরের হাট' শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হবে ঝাড়গ্রামে স্থানীয় নৃত্য ও গান।
ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষ এবং মহুল ব্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় আয়োজিত হতে চলেছে এই অনুষ্ঠান। পর্যটকদের জন্য কী কী থাকবে এই অনুষ্ঠানে? উত্তরে মহুল ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার তথা কর্ণধার পার্থ ভৌমিক জানালেন, "মূলত ঝুমুর গান, সাঁওতালি নাচ ও কবিতার ডালি সাজিয়ে আসবেন শিল্পীরা। এছাড়াও থাকবে মহুলের পারফরম্যান্স।" তবে এখানেই শেষ নয়, এবার থেকে প্রতি মাসেই এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ঐতিহাসিক এই ভবনের আভিজাত্য অনুভব করতে বছরের বিভিন্ন সময় এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। আর শীতকালে তো কথাই নেই। এমনকি করোনা আবহেও বড়দিন তথা বর্ষশেষের মরশুমে ঝাড়গ্রামে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে থাকার ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট প্যাকেজ। আর এবার সেই একই প্যাকেজের মধ্যে তাঁরা পেয়ে যাচ্ছেন নাচ গান দেখার সুযোগ। অর্থাৎ এর জন্য পর্যটকদের বাড়তি কোনও খরচ লাগছে না বলেই জানালেন পার্থ ভৌমিক। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এর ফলে একদিকে যেমন ঘুরতে এসে বাড়তি বিনোদন পাবেন পর্যটকরা, তেমনই উন্নতি হবে স্থানীয় শিল্পীদেরও। কর্তৃপক্ষের আশা ঝাড়গ্রামের লোক সংস্কৃতিকে চাক্ষুষ করতে এবার আরও বেশি পরিমানে আসবেন পর্যটকেরা। এখন দেখার নয়া এই উদ্যোগ কতটা উপভোগ করেন পর্যটকেরা।