করোনা আবহে এবছর ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন নিয়মাবলি ও বিধিনিষেধ। আবার ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে। এই পরস্থিতিতে পুজোর ছুটিতে অনেকেরই প্ল্যান রয়েছে ছোটখাটো ট্যুরের। তাঁদের জন্যই এবার সুখবর নিয়ে এল রেল। সাগর, পাহাড় বা জঙ্গল যেখানেই যেতে চান থাকছে ট্রেন।
রাজ্যে ৬৬টি স্পেশ্যাল ট্রেন
রেলের তরফে জানানো হয়েছে উতসবের মরশুমে ২০ অক্টোবর থেকে থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে চলবে মোট ৩৯২টি স্পেশ্যাল ট্রেন। তারমধ্যে বাংলার জন্য রয়েছে মোট ৬৬টি। ট্রেন গুলি ছাড়বে হাওড়া, শিয়ালদহ, সাঁতরাগাছি, কলকাতা ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে। এই সময়ের মধ্যে হাওড়া থেকে দিঘা রোজ চলবে ট্রেন। শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের মধ্যেও ট্রেন চলবে এই সময়। তবে ট্রেনগুলির সময়সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। খুব তাড়াতাড়িই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে স্পেশ্যাল ট্রেনের ভাড়াও একটু বেশি। এক্ষেত্রে যাত্রীরা যে শ্রেণির টিকিট কাটবেন তার ভিত্তিতে মেল বা এক্সপ্রেসের তুলনায় ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুনতে হবে বলে জানা গেছে।
পুরীর জন্যও থাকছে ট্রেন
শধু দিঘা বা নিউ জলপাইগুড়িই নয়, পুরী যাওয়ার জন্যও এই সময় পাওয়া যাবে ট্রেন। রেলের ঘোষণা অনুযায়ী উতসবের দিনগুলিতে কলকাতা,পটনা, বারাণসী, লখনউয়ের মত কয়েকটি নির্দিষ্ট গন্তব্য়ে চলাচল করবে বিশেষ ট্রেনগুলি। রেলের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ লকডাউন ও পরবর্তী আনলক পরিস্থিতির একঘেয়ে জীবন থেকে যেমন মানুষ কয়েকদিনের মুক্তি পাবেন, তেমনই পুজোর দিনে কলকাতায় ভিড় কিছুটা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া করোনার জেরে ধুঁকতে থাকা রাজ্যের পর্যটনও কিছুটা চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।