বিনা লাইসেন্সের চালক
শহরের বেশিরভাগ বাইকে চলছে চালকের বিনা লাইসেন্সে। এমন খবর আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে পথে নেমে অভিযান চালানো শুরু করল পুলিশ। আর অভিযানে নামতেই একের পর এক বাইক চালক পুলিশের জালে। প্রথম দিনই অভিযান চালিয়ে প্রায় চল্লিশটিরও বেশি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
চোখ কপালে পুলিশ কর্তাদের
লাইসেন্স ছাড়া বাইক চালানোর এমন প্রবণতা দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশকর্তাদের। যে কোনও রকম দুর্ঘটনা বা কোনও সমস্যা তৈরি হলে অথবা বাইক চুরি হলে লাইসেন্স না থাকায় কোনও সুবিধা পাবে না চালক। তাহলে ঝুঁকি নিয়ে কেন এই বাইক আরোহন? সঠিক কোনও জবাব নেই কারও কাছেই।
ধারের বাইক
কেউ বন্ধুর বাইক চালাচ্ছেন, কেউ সস্তায় বাইক কিনেছেন বাড়িতে না বলে। লাইসেন্স বানানোর ঝক্কি থেকে দূরে থাকতেই এবং বাড়িতে জানাজানি যাতে না হয় সে কারণেই লাইসেন্স বানানোর দিকে হাঁটেননি তারা। বেশিরভাগই টিনেজার। ১৪ -১৬ বছর থেকে শুরু করে আবার ২৫-২৬ পর্যন্ত বয়সের যুবকরাই বেশি লাইসেন্স ছাড়া ঘুুরছে শহরে। যাদের লাইসেন্স রয়েছে তাদের কেউ অন্তত ত্রিশ বছরের নিচে নয়।
প্রবণতায় শিউরে উঠছে পুলিশ
এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর বলে মনে করছে পুলিশ। চালকদের নিজেদের স্বার্থে অবিলম্বে লাইসেন্স তৈরি করে নেওয়া উচিত। তবে ১৮ বছর হওয়ার আগেই যারা বাইক চালাচ্ছে, তাদের লাইসেন্স থাকার কথা নয়, নেই। তাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সতর্ক থেকে বাইক চালানোর বিষয়ে নজরদারি করতে হবে বলে পুলিশের দাবি।
এক অভিযানে আটক ৪০ টি বাইক
বিষ্ণুপুরের ঝাপর মোড় ও বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মোড়ে শুক্রবার রাত থেকে চলে পুলিশি অভিযান। অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৪০ টির বেশি মোটর বাইক। যার নেতৃত্ব ছিলেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।
সচেতনতাই মূল উদ্দেশ্য
বিনা লাইসেন্সে যারা মোটর বাইক নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিদের মোটরবাইকে আটক করা হয় । পুলিশের এই অভিযান অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে। পাশাপাশি যারা মাস্ক ছাড়া মোটর বাইক নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের গাড়ির চাকার হাওয়া পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এবং তাদেরকে করা সতর্কবার্তা দেওয়া হয় সকলেই যেন অবশ্যই ব্যবহার করেন।
পুলিশের দাবি
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান জানান , আমাদের কাছে একটা অভিযোগ আসছিল, ইয়ং জেনারেশন মূলত ৪০ বছরের নীচে, তারা বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালাচ্ছে এবং সেই মোতাবেক আমরা আজ একটি অভিযান চালাই এবং যারা বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালাচ্ছেন তাদেরকে আটক করা হয় । এর ফলে সাধারণ মানুষরা আরও বেশি সচেতন হবেন।
এসডিপিও-র বক্তব্য
বিষ্ণুপুর এসডিও অনুপ কুমার দত্ত জানান, করোনার সময়ে সকলেই যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, যাঁরা দোকানে যাচ্ছেন, তাঁরাও যাতে মাস্ক ব্যবহার করে সে কারণে তাঁদের সচেতন করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।