শীতকালীন টুরিজম আধুনিক পর্যটনের একটা দারুণ বিপ্লব। আগে গরমে পাহাড়ে, শীতে সমুদ্র, মরুভূমিতে যেত মানুষ। এখন শীত উপভোগ করতে শীতের সময় শীতের দেশে যায়। অফ সিজন বলে এখন আর কিছু নেই।
ফলে শীতে যদি জাঁকিয়ে শীত পড়ে, অথবা তুষারপাত,বৃষ্টির মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে তো পোয়াবারো। আর বাঙালির সুইজারল্যান্ড বলুন আর সিমলা। দার্জিলিংয়ের চেয়ে এগিয়ে নেই কেউ।
তাই সেভাবে পর্যটক হিসেবে যাঁরা পরিচিত নন, তাঁরাও খোঁজ রাখেন দার্জিলিংয়ের দিকে। সেখান বরফ পড়ছে কি না, টয়ট্রেন চলছে কি না, রোপওয়ের ভাড়া কতো, এ সমস্ত কিছুই। আর শীত এলে প্রথম প্রশ্নই থাকে বরফ বা তুষারপাত হবে কবে?
যাঁরা আর কোথাও যেতে পারেন না, তাঁরা জীবনে একবার তুষারপাত দেখার জন্য দার্জিলিংয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। যাই হোক দার্জিলিংয়ে তুষারপাত সব বছর হয় না। তাপমাত্রা শূন্য বা মাইনাসে নামলেও অনেক সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প না থাকার জন্য তুষারপাত ঘটে না।
২ বছর আগে শেষবার দার্জিলিং শহর সহ আরও নীচে এলাকাতেও প্রবল তুষারপাত হয়েছিল। গতবার তাপমাত্রা হিমাঙ্কে নামলেও তুষারপাত হয়েছে কেবল সান্দাকফু, ফালুটে।
তবে এবার কিন্তু বরফ বা তুষারপ্রেমী পর্যটকদের জন্য সুখবর রয়েছে। অর্থাৎ এবার ফের দার্জিলিং শহর ও লাগোয়া এলাকাতে তুষারপাত হতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
তাও তার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা নাও করতে হতে পারে। বলা হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ বুধবার তুষারপাত হতে পারে দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী বুধবারের মধ্যে দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বুধবার বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে। দার্জিলিং ও কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকা ছাড়াও জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহারেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আসলে এই সময় দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প জমা হয়েছে। তাপমাত্রা হুহু করে নামতে শুরু করেছে। ফলে হিমাঙ্ক ছুঁলেই তুষারপাত হতে পারে। যে সব নীচু এলাকায় হিমাঙ্কে নামবে না, সেখানে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।