scorecardresearch
 

Elephants Of Jaldapara And Gorumara: কুনকি হাতিদের 'মনের ইচ্ছা' জানতে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করল বন দফতর

Elephants Of Jaldapara And Gorumara: আট সদস্যের একটা বিশেষ এক্সপার্ট কমিটি গড়ে তুলেছে বন দফতর। মঙ্গলবার গরুমারায় (Gorumara) এবং বুধবার জলদাপাড়ায় (Jaldapara) সমীক্ষা করে সেই এক্সপার্ট কমিটি। দু’দিনের এই সমীক্ষার পর রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তারপরই দুই জায়গার কুনকি হাতিদের জীবনযাত্রায় প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement
কুনকি হাতিদের মনের ইচ্ছা জানতে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করল বন দফতর কুনকি হাতিদের মনের ইচ্ছা জানতে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করল বন দফতর

Elephants Of Jaldapara And Gorumara: কুনকি হাতিদের মন-মর্জি কী? অনেক সময় দীর্ঘদিন পালন করার পরও বুঝতে পারেন না মাহুতরা। কখনও হাতির হানায় প্রাণ হারাতে হয় সেই মাহুত কিংবা পাতাওয়ালাদেরও। এমন ঘটনা বিরল নয়। কুনকি হাতিদের জঙ্গলের সরকারি কাজে লাগাতার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই কাজে হাতিদের মন আছে কি না, বা কখনও তাঁদের কাজে যেতে মন চাইছে না কি না, তা জানা যায় না। বা কেউ জানতে চান না। এবার অবশেষে হাতিদের মনের বাসনা জানার চেষ্টা করতে চায় বন দফতর। সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপও করা শুরু করেছে তারা।

এর জন্য আট সদস্যের একটা বিশেষ এক্সপার্ট কমিটি গড়ে তুলেছে বন দফতর। মঙ্গলবার গরুমারায় (Gorumara) এবং বুধবার জলদাপাড়ায় (Jaldapara) সমীক্ষা করে সেই এক্সপার্ট কমিটি। দু’দিনের এই সমীক্ষার পর রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তারপরই দুই জায়গার কুনকি হাতিদের জীবনযাত্রায় প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।

এই এক্সপার্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি। তিনি বলেন, ‘সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুনকি হাতি নিয়ে কোনও জায়গায় কোনও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হলে কমিটির মাধ্যমে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সমীক্ষায় কী দেখা হচ্ছে? 
কমিটির সদস্যরা গরুমারা এবং জলদাপাড়ার কুনকি হাতিদের রোজনামচা খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি যে হাতিদের দিয়ে পর্যটকদের জঙ্গলে ঘোরানো হয়, তাদের সহ্যক্ষমতা, অতিরিক্ত পর্যটক তাদের পিঠে ওঠানো হচ্ছে কি না দেখা হয়েছে। পাশাপাশি কুনকিদের প্রতি মাহুতদের আচরণও খতিয়ে দেখেছে এই কমিটি। কথা বলেছেন মাহুতদের সঙ্গেও।

গরুমারায় ২৮টি এবং জলদাপাড়ায় প্রায় ৮০ বেশি কুনকি হাতি রয়েছে। জঙ্গল রক্ষা থেকে শুরু করে পর্যটকদের জঙ্গলে সাফারি সহ একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে এই কুনকি হাতিগুলি। বিগত কিছু বছরে দেখা গিয়েছে, কুনকিরাও মাঝেমধ্যে হিংস্র হয়ে উঠছে। বন দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকবছরে জলদাপাড়ায় দশজনেরও বেশি মাহুতের মৃত্যু হয়েছে কুনকি হাতির হামলায়।

Advertisement

কিন্তু বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে কেন? সেই কারণ খুঁজতে কুনকিদের নিয়ে সমীক্ষার ভাবনা। সমীক্ষার জন্য গঠিত এক্সপার্ট কমিটিতে বনাধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন পদ্মশ্রী পার্বতী বড়ুয়া, গরুমারা এবং জলদাপাড়ার পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল, উৎপল শর্মা, মাহুত দীনবন্ধু বর্মন এবং রবি বিশ্বশর্মা, পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসু। 


 

Advertisement