Fake Phone Call To State Minister Tajmul Hossain: 'নবান্ন থেকে বলছি', ভুয়ো ফোন কল গেল রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের কাছে। প্রথমে সত্যি নবান্নের ফোন ভেবে বেশ কিছু তথ্যও দেন মন্ত্রী। পরে বুঝতে পারেন এমন কোনও ফোন নবান্ন থেকে আসেনি। এরপরই চমকে ওঠেন তিনি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনায় রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এর পিছনে আসল কারণ কী, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সতর্ক হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও। রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দিনভর ছাইবৃষ্টি, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা, শ্বাসকষ্ট
জানা গিয়েছে, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের কাছে গত বুধবার বিকেলে একটি ফোন আসে। সে সময় মালদা জেলাশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন তাজমুল হোসেন। ফোনে তাঁকে এক ব্যক্তি বলেন, "নবান্ন থেকে ফোন করা হয়েছে।" তাঁর কাজকর্ম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তিনিও নবান্নের ফোন মনে করেই বেশ কিছু তথ্য় শেয়ারও করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন নবান্ন থেকে তেমন কোনও ফোন আসেনি। তারপরেই তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহায়ক গোলাম মোর্তাজা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, ফোনটি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ট্যাংরার কাঠপুর থেকে এসেছিল। এরপরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের একটি দল উত্তর ২৪ পরগনার উদ্দেশে রওনা দেয়। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আজিম মণ্ডল (২৫)। তাকে শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
এ দিকে এই ঘটনার মধ্যেও রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ বিরোধীদের আইটি সেল থেকে এই ধরনের কাজ করা হয়ে থাকতে পারে। তাজমুল হোসেনের সহায়ক গোলাম মোর্তজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মন্ত্রী সহজ সরল হওয়ায় প্রথমে সব তথ্য দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী যখন জানতে পারেন নবান্ন থেকে ফোন আসেনি, তখনই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। বিরোধীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাঁর দাবি। বিজেপির তরফ থেকে অবশ্য এমন কোনও ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত থাকার কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।