জামাত-এ উলেমায়ে হিন্দের অষ্টাদশ ফিকহি ইজতেমা (ন্যায়শাস্ত্রীয় বৈঠক) কার্যক্রম, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে আয়োজন করা হয়েছিল। এতে গোটা দেশের ২০০ মুফতি শামিল হয়, কার্যক্রমের আয়োজনের এর দায়িত্বে ছিলেন মৌলানা মাহমুদ আসাদ সদনি। শেষ ভাগের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দারুল উলুম দেওবন্দের বিসি মুফতি আবুল কাসিম নৌমানী।
জামাত এ উলেমায়ে হিন্দ ২০০ মৌলবীর সম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে বলা হয় tiktok এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে জন্য ডান্স এবং অনাবশ্যক ফটোগ্রাফি থেকে হওয়া আয় ইসলামে স্বীকার্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে কাঁদা, নাচ করা এবং অনাবশ্যক ছবি পোস্ট করা জীবিকার অবশ্য স্বীকার্য সাধন নয় এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ শরিয়া আইনে অবৈধ বলে মনে করা হয়।
বেআইনি হিসেবে সম্পর্কিত
সুদের ব্যবসা, ঘুষ, চুরি, জুয়া, প্রতারণা বা মিথ্যা এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। বৈঠকে বলা হয় শরিয়া দ্বারা নিষিদ্ধ গতিবিধি, যেমন নাচ, গান, কান্না, অনাবশ্যক ছবি নেওয়া ইসলামে বৈধ নয় এবং এই সমস্ত গতিবিধিতে হওয়া কামাইও অবৈধ। বৈঠকে সকলে সম্মত হন হন যে, এভাবে কামাই করলে আপনাকে ভুল কাজের দিকে নিয়ে যাবে এই সমস্ত আয়ের পথ থেকে দূরে থাকা উচিত।
খদ্দেরদের জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য কেবল হালাল ফান্ড উপযোগ করা উচিত। যদি কোনও কারণে এই হারাম ধনের উপযোগ করা হয়, তাহলে কেনা জিনিস থেকে হওয়া লাভ হারাম বলে মনে করা হবে। যদি কোনও ব্যক্তির কাছে হালাল এবং হারাম দুই রকম সম্পত্তি আলাদা আলাদা থাকে। তাহলে কেবল হালাল সম্পত্তি দিয়ে করার জন্য তিনি অনুমতি পাবেন। তাহলে তার কাছ থেকে নেমন্তন্ন পাওয়া বা উপহার নেওয়া বৈধ। কিন্তু যদি তিনি হারামের ধন থেকে কোনও এই ধরনের কাজ করেন তাহলে সেটি স্বীকার্য নয়।