Primary Teacher Arrested: চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক লোকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার উত্তর দিনাজপুরের প্রাথমিক শিক্ষক। কুশমণ্ডি থানায় সম্প্রতি দুটি অভিযোগ জমা পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগের তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে ইটাহারের ভদ্রশিলা তেঁতুলতলার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত আদালতের নির্দেশে ওই শিক্ষক কুশমণ্ডি থানার পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
অভিযুক্ত ইটাহার ব্লকের চাভোট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উৎপলকুমার সরকার। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আসে। নিয়মিত স্কুল না করা, মিড- ডে মিল নিয়ে গোলমাল, শিশুদের পাঠদানে উদাসীনতা সহ বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল অভিভাবকদের তরফে। রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পর চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে অনেক টাকা তুলেছেন বলে কানাঘুষোও ছিল। এবার কুশমণ্ডির দুই মহিলা সরাসরি থানায় অভিযোগ জানানোর পর পদক্ষেপ করে পুলিশ।
কুশমণ্ডি থানার আইসি তরুণ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে ওই শিক্ষককে আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশি জেরার মুখে পড়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে ইটাহারে কর্মরত ওই শিক্ষক পাশের জেলার কুশমণ্ডিতে গিয়ে সেখানকার দুই মহিলার কাছ থেকে ৪ লক্ষ করে মোট ৮ লক্ষ টাকা পকেটে পুরেছেন বলে অভিযোগ। প্রথমে ২০২১ সালে চাকরিপ্রার্থী এক মহিলার কাছ থেকে ওই টাকা নেন উৎপল। তার পরের বছর আবার ওই মহিলার ননদের চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে আরও ৪ লক্ষ টাকা হাতান। এরপর দীর্ঘদিন তাঁর পিছনে ঘুরেও কোনও চাকরি জোটেনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মহিলার। বহু চাপাচাপির পর মাস কয়েক আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে গ্রুপ-ডি পদের দুটি নিয়োগপত্র ওই দুই চাকরিপ্রার্থীকে পাঠান ওই শিক্ষক। কিন্তু তাঁরা জানতে পারেন, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তাঁরা গত ২১ অক্টোবর কুশমণ্ডি থানায় উৎপলকুমার সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপরে গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ইটাহারে তাঁর তেঁতুলতলার বাড়ি থেকে উৎপলকুমার সরকারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় কুশমণ্ডি থানার পুলিশ।