Sevoke-Rangpo railway project: ট্রেনে সিকিম যাওয়া যাবে কবে থেকে? ৮টি সুড়ঙ্গের কাজ শেষ পর্যায়ে

সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি সুড়ঙ্গ, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement
ট্রেনে সিকিম যাওয়া যাবে কবে থেকে? ৮টি সুড়ঙ্গের কাজ শেষ পর্যায়ে সেবক–রংপো রেল প্রকল্প
হাইলাইটস
  • ৮টি টানেলে এডিট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে
  • জানা গিয়েছে, বাকি কাজও দ্রুত গতিতে চলছে

উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ বিপর্যয় হলেও বাংলায় সুড়ঙ্গ নির্মাণে সাফল্য। সেবক–রংপো রেল প্রকল্পে (Sevoke-Rangpo Railway Project) ৮টি টানেলে এডিট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মোট ৪৫ কিমি রেল পথে ১৪টি সুড়ঙ্গ পার করবে ভারতীয় রেল। টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, ১৪টি টানেলের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ছিল টানেল ১।  কারণ এই ৪ কিলোমিটারের বেশি লম্বা টানেল যে এলাকায় তৈরি হচ্ছে সেখানকার মাটি মূলত বালিমাটি। তাই ধসের প্রবল ছিল। সেসব সম্ভাবনা মাথায় রেখেই সেই টানেলের এডিট শেষ হয়েছে বুধবার। জানা গিয়েছে, বাকি কাজও দ্রুত গতিতে চলছে।

টিভি নাইন বাংলার-র প্রতিবেদন অনুসারে, শ্রমিক ও যাত্রী নিরাপত্তায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এডিট। মেন টানেলের ভিতর থেকে ছোট ছোট কিছু সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ করা হয়। যাতে বিপদে পড়লে যাতে শ্রমিকরা বের হতে পারেন। সেই পথকেই ইঞ্জিনিয়ারিয়ের ভাষায় বলা হয় এডিট। মোট আটটি এডিট-র কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।

যদিও এর আগে গত মাসে ভেঙে পড়ে একটি টানেলের ছাদ। সেই সময় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ২০২৪ সালের শুরুতে জানুয়ারি নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে সিকিম রেল পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও প্রকল্প আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছিল সমস্ত কাজ প্রায় শেষ। শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। কদিনের মধ্যেই চাকা গড়াবে সেবক-রংপো রেলপথের অর্থাৎ রেলপথে সিকিম জুড়বে গোটা দেশের সঙ্গে। এখন রেল সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে চালু হয়ে যেতে পারে।

সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি সুড়ঙ্গ, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত এই রেলপথের পরিকল্পনা ও শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Rail Minister) তথা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Chief Minister Mamta Banerjee) হাত ধরে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement