Man lost Govt Jobs Immediate After Marriage In Jalpaiguri: দেখেশুনে সরকারি চাকরিজীবী পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। স্বভাবতই একটা সন্তুষ্টি ছিল কন্যাপক্ষের তরফে।কিন্তু তা যে বিয়ের পর বেশিক্ষণ টিঁকবে না, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি জলপাইগুড়ির ওই পাত্রীর আত্মীয়রা। বিয়ের পর কালরাত্রির দিনই খবর এল আদরের পাত্র চাকরি খুইয়েছেন। ফলে বৌভাতের আগেই আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। নিয়ম মেনে সবই হল, কিন্তু কোথাও যেন ছন্দপতন হয়ে গেল। যা সারাজীবনে আর কাটবে কি না, জানেন না কনে, বা তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের। বিয়ে যখন হয়েই গিয়েছে, তখন মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা। ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই ইন্টারনেটে কটাক্ষের ঝড়।
আরও পড়ুনঃ সাড়ে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে কলকাতা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল, দেখে নিন সূচি
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পর হাইকোর্টের নির্দেশে দফায় দফায় চাকরি যাচ্ছে বহু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের। সূত্রের খবর, ২০১৭ সাল থেকে জলপাইগুড়ির রাজডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা প্রণব রায়। গত বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর বিয়ে। ধুমধাম করে সারেন বিয়ে। শুক্রবারই বউ নিয়ে বাড়ি ফেরেন প্রণব। ওইদিনই নিয়োগে গরমিল থাকায় চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেখা যায়, সেখানে নাম রয়েছে প্রণব রায়েরও। বিষয়টা জানাজানি হতেই প্রণব রায়ের বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখেছেন, “বৃহস্পতিবার বিয়ে, শুক্রবার গেল চাকরি, শনিবার বউভাত।” কেউ আবার লিখেছেন, “ফুলশয্যা নয় কন্টকশয্যা হবে।” কেউ লিখেছেন, “আদৌ ফুলশয্যা হবে তো?” প্রবল ট্রোলের স্বীকার নবদম্পতি। এ বিষয়ে রাজাডাঙা কেন্দা মহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুদীপ দত্ত বলেন, “আইন নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে প্রণব রায় এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুলে গ্রুপ সি পদে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে চাকরিচ্যুত কর্মীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে এই শিক্ষক সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার একাধিক নাম রয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সর্বত্রই চর্চা, তালিকায় কে?