চিলাপাতায় (Chilapata Forest) পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার দাবি জানাল আলিপুরদুয়ার জেলা পর্যটনমহল। জেলায় পর্যটন শিল্পের প্রভূত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কোনও পর্যটন সার্কিট না থাকার কারণেই ডুয়ার্সের লাটাগুড়ির থেকে অনেক পিছিয়ে এই জেলার পর্যটন শিল্প।
এই বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (HHTDN) সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, পরিকাঠামোর অভাবে চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রটি ধুঁকছে। অবিলম্বে এটিকে একটি নির্দিষ্ট পর্যটন সার্কিট হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। সম্রাট সান্যাল আরও বলেন, চিলাপাতাকে কেন্দ্র করে সংলগ্ন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এবং কোচবিহারের ঐতিহাসিক স্থানগুলি মিলিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
শুধু তাই নয়, HHTDN-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল আরও বলেন, চিলাপাতার পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার পর একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরে জমা দেওয়া হবে। যাতে দ্রুত এই কেন্দ্রটিকে নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলা যায়, সেই চেষ্টা করা হবে।
ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অথচ মধ্য ডুয়ার্স কিংবা পূর্ব ডুয়ার্সে সেই সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলা হয়নি। এক্ষেত্রে চিলাপাতাকে কেন্দ্র করেই কোচবিহার, বাণেশ্বর, মদনমোহন মন্দির, কোচবিহার রাজবাড়ি, রসমতি বিল নিয়ে এই পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
রসমতি বিলে রাজ্য বনদফতরের গন্ডার রাখার যে পরিকল্পনা ছিল তা এখন বিশবাঁও জলে। একসময় এই রসমতি বিলেই প্রচুর পরিমানে হরিণ, বাইসন, বুনো শুয়োরের দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু সেইসব বন্যপ্রাণী কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এখন বেপাত্তা।